আধুনিক কলকাতার রূপকার মেয়র সুভাষচন্দ্র বসু
এখন পুরসভার যে রূপটি আমরা দেখি, সেটি অনেকাংশেই নেতাজিরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
দেবারতি ঘোষ: আজ ২৩ জানুয়ারি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন। স্রেফ স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবাদপ্রতিম নেতাই নন, খুব অল্পের সময়ের জন্য হলেও কলকাতা পুরসভার মেয়রও ছিলেন তিনি। এই শহরে পুর পরিষেবা কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, তা নিয়ে ভেবেছিলেন অনেক কিছুই। বলা যায়, এখন পুরসভার যে রূপটি আমরা দেখি, সেটি অনেকাংশেই নেতাজিরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
সালটা ১৯২৮। কলকাতা পুরসভার CEO হন সদ্য় ICS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুভাষচন্দ্র। তিন বছর পর কলকাতা পুরসভায় ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় মেয়র পদে প্রার্থী হলেন সুভাষ। জিতলেনও বিপুল ভোটে। নবনির্বাচিত মেয়রকে নিয়ে পুরসভার থেকে বের হল বিজয়মিছিল। সেই মিছিল পরিক্রমা করেছিল গোটা এসপ্লানেড চত্বর।
আরও পড়ুন: আসছেন মোদী,পদযাত্রা মমতার, নেতাজীর জন্মদিনে কড়া নিরাপত্তায় কলকাতা
সময় পেয়েছিলেন মাত্র কয়েক মাস। কিন্তু এটুকু সময়ের মধ্য়েই পুরকর্মীদের স্বার্থে যা পরিকল্পনা করেছিলেন নেতাজি, সেই পরিকল্পনাই পরবর্তীকালে বাস্তবে রূপ পায়। কলকাতা শহরে এখন পুরসভা পরিচালিত স্কুলের সংখ্য়া নেহাত কম নয়। বহু গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরাই সেই স্কুলে পড়াশোনা করেন। এই ভাবনাটি কিন্তু প্রথম ভেবেছিলেন নেতাজিই। তাঁর ভাবনাতেই ট্যাংরা অঞ্চলে তৈরি হয় প্রথম পুরসভা স্কুল। সুভাষচন্দ্রই প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, শহরের জঞ্জাল ফেলার একটি বিকল্প জায়গার প্রয়োজন। এমনকী, তাঁর আমলে ধাপার মাঠটি জঞ্জাল অপসারণের জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন: হরিশঙ্করের পরামর্শেই নেতাজির নামে কালকা
কলকাতা এখনও পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি পুরোপুরি। সেই সমস্যা ছিল তখনও। প্রায়শই ডায়েরিয়ার প্রকোপে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় শহরবাসীদের। এই রোগের হাত মুক্তি পেতে দরকার পরিশ্রুত পানীয় জল। নেতাজির পরিকল্পনা করলেন, কলকাতার অদূরে পলতা থেকে শহরে পানীয় জল সরবরাহের। তাঁরই উদ্যোগে পুরসভার প্রথম চালু হয় ভর্তুকিযুক্ত সস্তার ক্য়ান্টিনও।