শিশুমৃত্যু নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঘিরে প্রশ্ন
একদিনে কমপক্ষে ৩টি শিশুর মৃত্যু হলেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে গড়তে হবে তদন্ত কমিটি। শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে গঠিত হাই লেভেল টাস্ক ফোর্সের পরামর্শ মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সব জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল এবং জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
একদিনে কমপক্ষে ৩টি শিশুর মৃত্যু হলেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে গড়তে হবে তদন্ত কমিটি। শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে গঠিত হাই লেভেল টাস্ক ফোর্সের পরামর্শ মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সব জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল এবং জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যদিও, রাজ্যে গত এক বছরে শিশুমৃত্যুর হার ২ শতাংশ কমেছে বলে নতুন সরকারের বর্ষপূর্তিতে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিশুমৃত্যু রোধে সাফল্য দাবি করলেও,এখনও শিশুমৃত্যু যে সরকারের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ তার প্রমাণ মিলল স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক একটি নির্দেশিকায়। একদিনে ৩টি বা তার বেশি শিশু মারা গেলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে বাধ্যতামূলক ভাবে গড়তে হবে ৪ সদস্যের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। রাজ্যের সব জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল এবং জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তদন্ত কমিটিতে রাখতে হবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ এবং স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞকে। এছাড়া ওই হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের কোনও আধিকারিক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দিষ্ট করা একজন প্রতিনিধিকে রাখতে হবে তদন্ত কমিটিতে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে ওই জেলার সিএমওএইচ`কে। তিনি আবার প্রতি সপ্তাহের রিপোর্ট পাঠাবেন স্বাস্থ্য ভবনে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে।