নতুন কমিটিতে ২৫ শতাংশ নবিন প্রজন্মের সিদ্ধান্ত সিপিআইএম-এ
নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের কারণে সব জেলায় আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলন করা ষথেষ্ট কঠিন। দুদিনের সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই কথাই দলীয় নেতৃত্বকে জানালেন জেলার নেতারা।
নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের কারণে সব জেলায় আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলন করা ষথেষ্ট কঠিন। দুদিনের সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই কথাই দলীয় নেতৃত্বকে জানালেন জেলার নেতারা। এবারের সম্মেলনে সিপিআইএম জোর দিচ্ছে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উপরে। সেই কারণেই সম্মেলন থেকে নতুন কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে। তার আগে জেলার নেতাদের সব মতামতই শুনছেন সিপিআইএম-এর রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সিপিআইএম এর আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলন। এই সম্মেলনকে সামনে রেখেই আঞ্চলিক কমিটিগুলিকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন সিপিআইএম নেতারা। তার জন্য যেমন ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তেমনই অপেক্ষাকৃত তরুণদের কমিটিতে এনে সংগঠনকে চাঙ্গা করার করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য বেশ কিছু নেতা কর্মীর ভাবমূর্তিও দায়ী বলে মনে করছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কমিটিতে প্রোমোটার বা নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পার্টি কর্মীরা ঠাঁই পেয়েছেন। এটা ভাল চোখে দেখেননি ভোটদাতারা। রাজ্য নেতাদের মূল্যায়ন হল, জমি বাড়ির কারবারে বেশ কিছু সময় অনৈতিক পথকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। সেই কারণেই যাঁরা এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সম্পর্কে মানুষের ধারণাও নেতিবাচক। সেই কারণে প্রোমোটার বা নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আঞ্চলিক কমিটি থেকে দূরে রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার রাজ্য নেতারা এটাও দেখেছেন, অনেক কর্মীই বয়সের কারণে ঠিকমতো সংগঠনের কাজ করতে পারছেন না। তাই তাঁদের জায়গায় অপেক্ষাকৃত তরুণদের কমিটিতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঁয়তাল্লিস বছরের নীচে যাঁদের বয়েস, এমন কর্মীদের কত শতাংশকে আঞ্চলিক কমিটিতে রাখতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে সিপিআইএম-এর বহু নেতা কর্মী ঘরছাড়া। এ বিষয়টিও উদ্বেগে রেখেছে সিপিআইএম নেতৃত্বকে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে বহু জেলা কমিটির তরফেই জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসের কারণে সর্বত্র প্রচার করে আঞ্চলিক সম্মেলন করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে দলীয় কর্মীরা আরও বেশি আক্রমণের শিকার হতে পারেন। কোথায় আঞ্চলিক সম্মেলন কীভাবে করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্য নেতৃত্ব জেলার নেতাদের উপরেই ছাড়ছেন।