নিউটাউনে হাড়হিম করা Encounter, গুলির লড়াইয়ে হ্যাটট্রিক বিনীতের!

এর আগেও একেবারে সামনের সারিতে দাঁডিয়ে এনকাউন্টরে নেতৃত্ব দেন ১৯৯৪ ব্যাচের আইপিএস বিনীত

Updated By: Jun 12, 2021, 10:09 PM IST
নিউটাউনে হাড়হিম করা Encounter, গুলির লড়াইয়ে হ্যাটট্রিক বিনীতের!

পিয়ালী মিত্র

নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে গুলি। পাল্টা গুলি। ২০ মিনিটের নিখুঁত অপারেশনে নিকেশ পঞ্জাবের গ্যাংস্টার থেকে ড্রাগ স্মাগলার হয়ে ওঠা জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং। 

হাড়হিম করা ওই অপারেশনের নেপথ্য এডিজি(এসটিএফ) বিনীত গোয়েল। শুধু পরিকল্পনাই নয়। পুলিস হানা দিতেই যখন বিদেশি অস্ত্র থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জয়পাল-জসপ্রীত। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দুই রাউন্ড গুলি চালান স্বয়ং এডিজিও। সঙ্গে ছিলেন আইজি এসটিএফ রাজেশ যাদব সহ এসটিএফ ও এসএসএফ মিলিয়ে ৪০ জনের দল। আইজি রাজেশ যাদবও চালান দু-রাউন্ড গুলি। এমনই তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফের(STF) তরফ থেকে দায়ের করা এফআইআরের সূত্রে।

আরও পড়ুন-'রাজীবের ভ্যালু Zero; আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি': কল্যাণ  
 
আত্মরক্ষার্থে সবমিলিয়ে পুলিসের তরফ থেকে এই অপারেশনে চালানো হয় মোট ৩৬ রাউন্ড গুলি। এডিজি-আইজি ছাড়া ১০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এএসআই অভিজিৎ ঘোষ। স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্সের কনস্টেবল অমিত চট্টোপাধ্যায় অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে ২২ রাউন্ড গুলি চলান। তাঁরা মোট ৩২ রাউন্ড ফায়ারিং করেন। 

উল্লেখ্য, এর আগেও একেবারে সামনের সারিতে দাঁডিয়ে এনকাউন্টরে নেতৃত্ব দেন ১৯৯৪ ব্যাচের আইপিএস বিনীত।  সহকর্মীর বলছেন, ২০০৪ সালে পুরুলিয়ার গুরপনা জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লডাইয়ের নেতৃত্ব দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও এক আইপিএস, কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। ঘন অন্ধকারে জঙ্গলের সেই লডাইতে কেউ গ্রেপ্তার বা কোনও মাওবাদী মারা না গেলেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী।

আরও পড়ুন-GST-Council-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে প্রতিবাদপত্র অমিত মিত্রের 

তারপর ২০১১। জঙ্গলমহলের যে অপারেশনের পর এরাজ্য মাওবাদী হিংসায় যবনিকা পড়ে। ‘এনকাউন্টার কিষানজি’। সেখানেও নেতৃত্বে সেই বিনীত। সাপুরজির এনকাউন্টারের পর আইপিএসদের অফিসারদের গ্রুপে কীভাবে আইপিএস অফিসার প্রবীণ ত্রিপাঠী, অলোক রাজোরিয়া, সুমিত কুমার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে অপারেশন কিষেণজি(Kishenji) সফল হয় তার স্মৃতিচারণা করেন বিনীত। 

বহু লোকের বাস নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে। একটু অসাবধানতায় ঘটে যেতে পারত বড় বিপদ। অথচ কুখ্যাত দুই গ্যাংস্টারকে কিছু বুঝতে না দিয়ে যে ভাবে মসৃণ অপারেশন চালানে হয়, তাতে এসটিএফের তারিফে মগ্ন গোটা পুলিস বাহিনী। শুক্রবারই রাজ্য এসটিএফের দপ্তরে গিয়ে রিভিউ বৈঠকের সঙ্গে সঙ্গে বিনীত এন্ড টিমকে অভিনন্দনও জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.