টুম্পাই বিদায়ে হুঁস ফিরল ঘাসফুলে, রাজনীতির সঙ্গে সংযোগহীনদের আর বসানো যাবে না উচ্চপদে, দাবি তৃণমূলের অন্দরে
রাজনীতিরযাঁদের সরাসরি যোগাযোগ নেই তাঁদের দলে এনে বড় পদ আর দেওয়া যাবে না। করা যাবে না মন্ত্রী-সাংসদ। সৃঞ্জয় বসুর দলত্যাগের পর তৃণমূলের অন্দরেই এই দাবি উঠছে।
ব্যুরো: রাজনীতিরযাঁদের সরাসরি যোগাযোগ নেই তাঁদের দলে এনে বড় পদ আর দেওয়া যাবে না। করা যাবে না মন্ত্রী-সাংসদ। সৃঞ্জয় বসুর দলত্যাগের পর তৃণমূলের অন্দরেই এই দাবি উঠছে।
সৃঞ্জয়ের জায়গায় দলের কোনও অভিজ্ঞ ফুলটাইম পলিটিশিয়ানকেই রাজ্যসভায় দেখতে চাইছেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ।সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে তৃণমূলের পাশে থাকার পুরস্কার যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আবার অস্বস্তিতে ফেলেছেন দলকে।
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে একনায়ক বলে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে ঘাসফুলের শাসন জাঁকিয়ে বসার পর মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় দলীয় রাজনীতির বাইরে থাকা বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রাক্তন আমলা-পুলিসকর্তা, সেলিব্রিটিদের ভিড় বেড়েছে তৃণমূলে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলে ল্যাটারাল এন্ট্রি নিয়ে অনেকেই পেয়ে গেছেন সংসদে পৌছনোর টিকিট। তার ফল কী হয়েছে?
সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার আগে-পরে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া
সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ।
বেআইনি অর্থলগ্নির ব্যবসায়ে নাম জড়িয়েছে কেডি সিংয়ের।
আহমেদ হাসান ইমরানের বিরুদ্ধে আবার জামাতের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ।
দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পরপর তোপ দেগে অস্বস্তি বাড়িয়েছেন অনুপম হাজরা।
মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সুলতান সিং।
সারদা-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শতাব্দী রায়ের।
কদর্য মন্তব্যে দলের মুখ পুড়িয়েছেন তাপস পাল।
নিজেদের ঝগড়ায় দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন ব্রাত্য-অর্পিতা।
এখানেই শেষ নয়। ঢাক ঢোল পিটিয়ে দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলে এসে মন্ত্রী হয়ে বিজেপিতে চলে গেছেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।
কখনও আবার সুগত বসুর বিবেক জাগ্রত হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তৃণমূল।
রাজনীতির বাইরে থেকে আসা এই সমস্ত ব্যক্তিদের নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আগে থেকেই আপত্তি ছিল। দলের বিভিন্ন বৈঠকে এ নিয়ে সরব হয়েছেন অনেক নেতা। সৃঞ্জয় বসুর দলত্যাগের পর ভাঙনের মুখে সেই আওয়াজই আরও জোরালো হয়েছে। তৃণমূলের একটা বড় অংশের মত,
দলীয় রাজনীতির বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিরা দলের সংগঠনের কিছুই বোঝেন না।
বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সেলিব্রিটি হওয়ার দৌলতে কিছু ভোট এলেও দলের লাইন মেনে কথা বলতে তাঁরা জানেন না।
রাজনীতির স্বার্থে রাজনীতির বাইরের লোকেদের দলে টানার কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে যাওয়ায় তৃণমূলে এখন অন্য ভাবনা।