পুজোর দিনে রাস্তার দুধারে বন্ধ থাকবে পার্কিং
পুজোর দিনগুলোয় টালা থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তার দুধারে বন্ধ থাকবে পার্কিং। পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। যদিও সরকারিভবে এখনও পর্যন্ত পুরসভাকে এব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা পরিবহণ মন্ত্রীকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
পুজোর দিনগুলোয় টালা থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তার দুধারে বন্ধ থাকবে পার্কিং। পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। যদিও সরকারিভবে এখনও পর্যন্ত পুরসভাকে এব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা পরিবহণ মন্ত্রীকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
পুজোর কটা দিন কলকাতাবাসীকে যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ দফতর। উত্তরের টালা থেকে দক্ষিণের টালিগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার বড় রাস্তার দু`ধারে পার্কিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। পরিবহণ মন্ত্রী বুধবার জানান, কালীপুজো পর্যন্ত চালু থাকবে এই ব্যবস্থা।
কিন্তু পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। কারণ পার্কিং থেকে পুরসভার বার্ষিক আয় ৭ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনও সরকারিভাবে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। তবে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানানো হবে বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা-
১) ঠিকাদারদের সঙ্গে রীতিমতো টেন্ডার করেই চুক্তি করা হয়েছে। তাই হঠাত্ করে পার্কিং বন্ধ করলে ঠিকাদাররা চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারেন।
২) কলকাতা শহরে রাস্তার আয়তন এমনিতেই কম। তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। পার্কি বন্ধ হলে এত গাড়ি থাকবে কোথায়?
৩) হাসপাতাল, শপিং মলের মতো জায়গাতেও সাধারণ মানুষ গাড়ি রাখেন। সেই গাড়িগুলি তাহলে কোথায় থাকবে?
৪) ট্যাক্সি এবং অটোর ঢালাও লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বড় রাস্তার ধারেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থাকে। সেই গাড়িগুলিই বা কোথায় থাকবে?
পার্কিংয়ের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তাই সমস্যার পাকাপাকি সমাধান চাইছে পুরসভা।