তৃণমূলে এখন সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে...
তৃণমূল শিবির জুড়ে এখন অবিশ্বাসের ছায়া। কে যায়? কোথায় যায়? কেন যায়? নজরদারিতে ব্যস্ত তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। ফোনে কারা কারা যোগাযোগ রাখছেন মুকুল রায়ের সঙ্গে? চিহ্নিত করতে ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। সতর্কতা এতটাই যে প্রশ্নোত্তর পর্বেও কারা প্রশ্ন করবেন তানিয়ে কড়া নজরদারি শাসক শিবিরে।
নজরদারি চলছে। তীক্ষ্ণ নজরদারি। সাতটা দশটা চোখ সবসময় ঘুরছে চারদিকে। বিধানসভার অলিন্দ থেকে ক্যান্টিন। তৃণমূল শিবিরের বেশয়েকজন নেতা এখন ব্যস্ত নজরদারিতে। কে যায়? কোথায় যায় কেন যায়? ফোন আসলে কে বার বার কেটে দিচ্ছে ফোন? কে আছে ওপ্রান্তে? মুকুল রায় থাকছেন না ধরেই নিয়েছেন সকলে। তিনি যে দল ভাঙতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন জানেন তৃণমূলের নেতারা। মুকল রায়ের সঙ্গে বহু বিধায়কেরই যে খুব ভালো যোগাযোগ তা জানতে বাকি নেই কারোর। তাই, তৃণমূল শিবির এখন ব্যস্ত নজরদারিতে। ৪ বিধায়ক যে মুকুলের সঙ্গেই আছেন তা জানেন সকলেই। এঁরা হলেন,
পানিহাটির শীলভদ্র
সল্টলেকের সব্যসাচী দত্ত
মেদিনীপুরের শিউলি সাহা
বীজপুরের শুভ্রাংশু রায়
চারজনকেই সোমবার দেখা যায়নি বিধানসভার ধারেকাছে। আসছেন না কেন? মুখ্য সচেতক শোভনদেবের ছোট্ট জবাব
'বেশিদিন না আসলে তো খোঁজ নিতেই হবে'।
কিন্তু, শুধু কি এই চার না আরও কেউ আছেন? কার কার ফোনে ভেসে উঠছে মুকুল রায়ের নম্বর? তবে প্রকাশ্যে না হলেও, মুকুল শিবির সূত্রে খবর অন্তত ৩২ জন বিধায়কের সঙ্গে বেশকয়েকবার কথা হয়েছে মুকুল রায়ের। রয়েছেন ৭ জন মন্ত্রীও। কারা তাঁরা? মুকুল শিবির বলছে, ক্রমশ প্রকাশ্য।