Baguiati Student Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে IC-কে ক্লোজ, তদন্তে CID
২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর নামের দুই ছাত্র। দু’জনেই বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই। ২৪ অগস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করে পরিবার। তার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাগুইহাটি জোড়া খুনে আইসি-কে ক্লোজ কর হল। ঘটনার তদন্তে সিআইডি। ডিজি-কে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন বাগুইআটি থানার আইসিকে ক্লোজ করার খবর। ঘটনায় পুলিসের যে গাফিলতি ছিল সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম সরাসরি জানিয়েছেন যে বাগুয়াটি থানার আরও একটিভ হওয়া উচিত ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন এই ধরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত বেদনাহত হয়েছেন এই ঘটনায়। সেই কারণেই ডিজি-কে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসি-র উচিত ছিল আগেই ব্যবস্থা নেওয়া এবং তিনি না পারলে উচ্চতর নেতৃত্বকে জানাতে হবে তাই বলা হয়েছে।
২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর নামের দুই ছাত্র। দু’জনেই বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই। ২৪ অগস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করে পরিবার। তার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। প্রায় ১১ দিন পর বসিরহাটের মর্গ থেকে পাওয়া গিয়েছে দুই ছাত্রের লাশ। গোটা ঘটনার আংশিক কিনারা করল বিধাননগর পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই খুন করা হয়েছে অতনু ও অভিষেককে। বেশ কিছুদিন আগেই সেই প্ল্যান করা হয়।
আরও পড়ুন: Baguiati Student Murder: খুনের আগে হোটেলে 'মিটিং' সতেন্দ্রর, কাজ হলে মোটা পারিশ্রমিকের প্রতিশ্রুতি
অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কয়েকদিন আগে বিধাননগর এলাকায় অভিজিতের সঙ্গে একটি হোটেলে দেখা করে সত্যেন্দ্র চৌধুরী। বাকি তিনজনকেও জোগাড় করে সত্যেন্দ্র। পরে ওই হোটেলেই হত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়। যদিও প্রধান টার্গেট ছিল অতনু। কিন্তু সেদিন অতনুর সঙ্গে পিসুতুত ভাই অভিষেক থাকায় খুন হতে হয় তাকেও। অত্যন্ত সুচারু ভাবেই এই পুরো ঘটনা প্ল্যান করেছিল সত্যেন্দ্র। যেই নম্বর থেকে মেসেজ করা হয়েছে সেই নম্বরগুলি থেকে মেসেজ ছাড়া করা ছাড়া আর কোথাও যোগাযোগ করা হয়নি। যাতে পুলিস সেগুলি ট্র্যাক না করতে পারে সেই জন্যই এই কাজ।
সেখানে অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের কাজ হাসিল হলে টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। প্রত্যেককে ২ বা ৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিস।