কলকাতায় ফের সাইকোকাণ্ডের ইঙ্গিত, মানিকতলায় বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু!
সময়টাও আনুমানিক একই। ২০১৫ সালের এই জুন মাসেই সামনে আসে পার্ক স্ট্রিটের পার্থ দে সাইকোকাণ্ড। দিদির মৃত্যুর পর তাঁর কঙ্কালকে আঁকড়ে ধরে দিনের পর দিন বাড়িতে ছিলেন ছেলে ও বাবা। সেখানে বাবার আত্মহত্যার ঘটনার পরই গোটা ঘটনা সকলের সামনে উঠে আসে। ধরা পড়ে গোটা ঘটনাটি। শহরজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় সেই সময়। সেই ঘটনার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শহরে ফের সাইকোকাণ্ডের ছায়া।
ওয়েব ডেস্ক : সময়টাও আনুমানিক একই। ২০১৫ সালের এই জুন মাসেই সামনে আসে পার্ক স্ট্রিটের পার্থ দে সাইকোকাণ্ড। দিদির মৃত্যুর পর তাঁর কঙ্কালকে আঁকড়ে ধরে দিনের পর দিন বাড়িতে ছিলেন ছেলে ও বাবা। সেখানে বাবার আত্মহত্যার ঘটনার পরই গোটা ঘটনা সকলের সামনে উঠে আসে। ধরা পড়ে গোটা ঘটনাটি। শহরজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় সেই সময়। সেই ঘটনার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শহরে ফের সাইকোকাণ্ডের ছায়া।
চোখের সামনে স্বামীকে আগুনে জ্বলতে দেখেও কাউকে ডাকলেন না স্ত্রী। উল্টে পাশের ঘরে গিয়ে টিভি দেখতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মানিকতলা সরকারি আবাসনের জি ব্লকের তিনতলার ফ্ল্যাটে গতকাল রাতে ঘটে এই ঘটনাটি। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিত বরাট নামে এক বৃদ্ধের। এই ঘটনার আটক করে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করছে মৃতের স্ত্রী সুতপা বরাত সহ আরও একজনকে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাত্ই জি ব্লকের ওই ফ্ল্যাটটি থেকে ধোঁয়া দেখতে পান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তারা এসে মাঝের বেডরুম থেকে উদ্ধার করে রঞ্জিত বরাটের অগ্নিদগ্ধ দেহ। সিইএসসির প্রাক্তন আধিকারিক রঞ্জিত। তার পাশের ঘরেই বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা বরাট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মানিকতলা থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, সুতপা বরাটের বয়ানে উঠে এসেছে বেশকিছু অসঙ্গতি।
মানিকতলার এই ঘটনায় উঠে এসেছে একাধিক ধোঁয়াশা। এটি কী আত্মহত্যা, নাকি মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? মৃত রঞ্জিত বরাটের বাড়ির নীচ থেকে একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিস। আর এই গাড়িকে ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধছে। রঞ্জিতবাবুর গাড়িতে রয়েছে পুলিসের স্টিকার লাগানো। কিন্তু, তিনি অবসরপ্রাপ্ত সিইএসসি আধিকারিক। হঠাত্ করে তাঁর গাড়িতে পুলিসেরহেলমেট, ওয়াকিটকি কোথা থেকে এল, কেনই বা এল, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহার ছিল অত্যন্ত খারাপ। কথায় কথায় দুর্ব্যবহার করতেন তাঁরা। এমনকী, নিজের মেয়ের সঙ্গেও বনিবনা তেমন ছিল না বলেই প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, প্রায় সময়ই মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন দম্পতি। ঘটনার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাধে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। অনুমান, তখনই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরান রঞ্জিত। চোখের সামনে তা দেখলেও কাউকে জানাননি সুতপা। তিনি তখন টিভি দেখতেই ব্যস্ত। প্রতিবেশীরা আরও দাবি করেছেন, এই দম্পতি ছিলেন মানসিক রোগী। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।