সরকারের হাত ধরে কৃষিতে রাজ্যের অগ্রগতি
গত চার বছরে জাতীয় স্তরে পশ্চিমবঙ্গের কৃষি একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। সেই কারণেই লাগাতার তিন বছর ধরে 'কৃষি কর্মন পুরস্কার' পশ্চিমবঙ্গের দখলে। ব্যপক
ওয়েব ডেস্ক: গত চার বছরে জাতীয় স্তরে পশ্চিমবঙ্গের কৃষি একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। সেই কারণেই লাগাতার তিন বছর ধরে 'কৃষি কর্মন পুরস্কার' পশ্চিমবঙ্গের দখলে। ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এ রাজ্যের কৃষকদের বার্ষিক আয়। ২০০৪-০৫ য়ে যা ছিল ৩৮,৫৩০ টাকা ২০১৩-১৪য় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৯ টাকা। দেশের মোট খাদ্যের ৮ শতাংশ আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কিন্তু তার তুলনায় রাজ্যে কৃষি জমির পরিমাণ যথেষ্ট কম। মাত্র ২.৭ শতাংশ। শষ্যের উৎপাদনে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। কৃষকদের চাষের কাজের সুবিধার জন্য ৬৯ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ হলো একমাত্র রাজ্য যেখানে কৃষকদের যাবতীয় ভর্তুকি সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বা কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য শষ্যের সঙ্গে বেড়েছে ডালের উৎপাদনও। গত তিন বছরে ৩৩.৫ শতাংশ থেকে হয়েছে ৩৫.০৪ শতাংশ। বেড়েছে তৈলবীজের উৎপাদনও। ১৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.২ শতাংশ। ভুট্টার উৎপাদন ৭.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.৮ শতাংশ। কৃষকদের আবহাওয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকায় চাষের অনেক ক্ষতি হয়। সেই সমস্যায় যাতে কৃষকদের আর পড়তে না হয় সে জন্য ১৪৫ টি অটোমেটেড ওয়েদার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। কৃষকদের কাজের সুবিধার্থে টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে সচেতনতা। এছাড়াও কৃষি মেলা, মাটি উৎসব, মাটি তীর্থ, কৃষি কথা ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।