Panchayat Election 2023: আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত বাহিনীর চাইতে হবে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
Panchayat Election 2023:হাইকোর্টের ওই নির্দেশ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কমিশন নিজেকে হাসির জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছে। ২২ কোম্পানি বাহিনী যে পর্যাপ্ত নয় তা একটা স্কুলে যাওয়া শিশুও বোঝে। আদালতের তা না বোঝার কিছুই নেই। এই নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র নয়
বিক্রম দাস ও অর্নবাংশু নিয়োগী: আদালতের ধাক্কা খেয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ২২টি জেলার জন্য মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এনিয়ে বিরোধীদের আপত্তি ছিল। রাজ্যে ৭৪ হাজার বুথ। মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে ২৮টি বুথ প্রতি একজন করে জওয়ান থাকার কথা। এনিয়ে হওয়া মামলায় কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির।
আরও পড়ুন-ভাঙড়ে সংঘর্ষ, নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা পুলিসের
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। ২০১৩ সালে যে সংখ্যাক বাহিনী ছিল তার থেকে কম বাহিনী চাইলে হবে না। কারণ এখন জেলার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিচারপতি বলেন নির্বাচন কমিশনার যদি চাপ সামলাতে না পারেন তাহলে তিনি পদ ছেড়ে দিন। সে ক্ষেত্রে নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। গতকালই কমিশন কেন্দ্রের কাছে প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কমিশন নিজেকে হাসির জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছে। ২২ কোম্পানি বাহিনী যে পর্যাপ্ত নয় তা একটা স্কুলে যাওয়া শিশুও বোঝে। আদালতের তা না বোঝার কিছুই নেই। এই নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র নয়।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণণূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ২০০৩, ২০০৮ সাল কেউ ভুলে যায়নি। এখন সবাইমিলে যদি পশ্চিমবঙ্গকে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে দেখতে হবে এর আগের সন্ত্রাসের দিনগুলোও ভেবে দেখতে হবে। এবাহ বিরোীদের যে সংখ্যক মনোনয়ন জমা পড়েছে তা আগে কখনও পড়েনি। ৬-৮টি জায়গায় বিরোধীরা নিজেদের মধ্য়ে গন্ডগোল করছে। ওই দৃশ্যগুলোই চাই। এগুলোই দিল্লিতে দেখানো হবে।
উল্লেখ্য, আজই পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রার্থীর চেক লিস্টে কারচুপি? বিকৃত করা হয়েছে নির্বাচনের নথি? এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে আজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, 'এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের হাতে তদন্তভার দেওয়া সমীচীন হবে না'। শুধু তাই নয়, ৭ জুলাইয়ের মধ্য়ে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ। নিয়মমাফিক এখন প্রার্থীদের চেক লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাহিরা গ্রাম পঞ্চায়েত চেক লিস্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। অভিযোগ, তালিকা তৈরির পর নাকি দেখানো হয়, প্রার্থীদের কোনও তথ্যই জমা পড়েনি! ফলে অনেক মনোয়নয়নই বাতিল হয়ে যায়। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
হাইকোর্টের রায়ে খুশি নয় তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্টতই বলেন, 'এটা ন্যায় বিচার হচ্ছে না। আমরা চারপাশে দেখছি, সমাজের নানা জায়গায় কিছু সিপিএমপন্থী, সিপিএম পরিবারের লোকজন আছেন, তারা গায়ের ঝাল মেটাচ্ছেন তৃণমূলের উপর, কারণ সিপিএমের সাম্রাজ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেঙে দিয়েছে'। তাঁর মতে, 'বিচারপতি অমৃতা সিনহা নিজে তদারকিতে রাজ্যকে নিয়ে তদন্ত করাতে পারতেন। কেন সিবিআই'?