Dilip Ghosh: 'রাজ্যপালের কন্ট্রোল রুমে রাশি রাশি ফোন, তৃণমূল চাইছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক'
কিন্তু বাহিনী নিয়ে নাকি এখনও একবগ্গা কমিশন। দিলীপ বাবুর বক্তব্য, 'রাজ্য সরকার বা তৃণমূল চাইছে না বাহিনী আসুক। তাই এই কোর্ট, এই বেঞ্চ করে সময় কাটিয়ে দিতে চাইছে। যদি বাহিনী এসে ভোট নিয়ন্ত্রণ করে, যেভাবে বিরোধীরা উৎসাহে মনোনয়ন দিয়েছেন, সেভাবেই জিতে বেরিয়ে যাবেন। তাই তারা জান-প্রাণ লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা আটকাতে চাইছেন।'
অয়ন ঘোষাল: মনোনয়ন পর্ব থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি শুরু। হিংসা পর্বের পর ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী রাজভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'রাশি রাশি ফোন আসছে সেখানে। এদিন তিনি বলেন, গোলমাল হলে ফোন করে মানুষ জানাচ্ছে। বহু প্রার্থী ঘর ছাড়া, গ্রাম ছাড়া, অন্যত্র আছেন। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এক প্রার্থীর আত্মীয় খুন হয়েছে। অনেকেই ভাবছে, সেন্ট্রাল ফোর্স এলে হয়তো এই ভয় কাটবে।'
আরও পড়ুন, Kolkata: কেষ্টপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মা-মেয়ের জোড়া দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য...
কিন্তু বাহিনী নিয়ে নাকি এখনও একবগ্গা কমিশন। দিলীপ বাবুর বক্তব্য, 'রাজ্য সরকার বা তৃণমূল চাইছে না বাহিনী আসুক। তাই এই কোর্ট, এই বেঞ্চ করে সময় কাটিয়ে দিতে চাইছে। যদি বাহিনী এসে ভোট নিয়ন্ত্রণ করে, যেভাবে বিরোধীরা উৎসাহে মনোনয়ন দিয়েছেন, সেভাবেই জিতে বেরিয়ে যাবেন। তাই তারা জান-প্রাণ লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা আটকাতে চাইছেন।'
অন্যদিকে, বাহিনীর দাবিতে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'তারা আগে থেকেই বলে রেখেছেন, বাহিনী ছাড়া তারা ভোটে যাবেন না। কিন্তু তারা তো চাকরি করেন। তাদের তো চাকরি বাঁচাতে হবে। নাহলে হয়তো সাসপেন্ড হয়ে যাবেন। কিন্তু এই মন নিয়ে তারা ভোটের ডিউটি করতে যাবেন কীভাবে? ভোট কি ঠিক মত হবে? মনোনয়নের প্রথম দু'দিন দেখলাম, একে তো কর্মচারী কম, তার ওপর তাদের ঠিকমত কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আমাদের সময় নষ্ট হল। তারপর হিংসা শুরু হয়ে গেল। তারা যেটা চাইছেন, সেটা হল সুরক্ষা। তার গ্যারান্টি না পেলে কেন যাবেন?'
এদিকে, নন্দিগ্রামে বেশ কিছু আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারল না। এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, 'অনেক জায়গায় এরকম হয়েছে। যেগুলি মিশ্র এলাকা। পার্টির সিম্বলে অনেকে দাঁড়াতে চায়নি। বিরোধী ভোট ভাগ আটকাতে আমরা অনেক নির্দলকে মেনে নিয়েছি। কারণ ওখানে বিজেপি দাঁড়ালে জিতবে না। অন্যান্য জেলাতেও হয়েছে। এটা কৌশলগত রণনীতি। আমার নিজের লোকসভা এলাকায় ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থী দাঁড় করিয়েছি। আমি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করছি। এখন আমি রাজ্যের কোনও দায়িত্বে নেই। আমি আমার লোকসভায় ফোকাস করেছি। ঘাটালে কিছুটা করেছি। আমাদের ওখানেও মুসলিম এলাকায় সন্ত্রাস আছে। কিছু কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়া যায়নি। তাই অনেক জায়গায় নির্দলকেও সমর্থন দিচ্ছি।'
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ইডি সিবিআই দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। সে বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পুলিস দিয়ে জেতা যায়! তাই পুলিস নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা বিরোধিদের বাধা দিচ্ছে। গতবার পঞ্চায়েতে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলী গুণ্ডারাজ চলেছিল। তাই তো সেন্ট্রাল ফোর্স কে ওরা ভয় পাচ্ছে।'
আরও পড়ুন, Haridevpur: জমি নিয়ে বিবাদ! ৭ বছরের শিশুকে সাপভর্তি কুয়োয় ধাক্কা জ্যেঠুর