শ্যুটআউট করেই আত্মগোপন! কমান্ডো বাহিনী নামিয়ে চলল অপারেশন! কীভাবে হল 'অপারেশন মোজো'?
রুটিন রোল কলের পর এক হেড কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পরপর ১৫ রাউন্ড গুলি চালায় একে মিশ্রা। তারপর একটি ব্যারাকের পাশে একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। সঙ্গে একে ৪৭। কীভাবে নিরস্ত করা হয় অভিযুক্তকে?
পিয়ালি মিত্র: প্রতিদিন বিকালে CISF জওয়ানদের রোল কল। সেই রোল কলের পর সন্ধ্যে ৬.১৫ নাগাদ ব্যারাক সংলগ্ন CISF কিয়স্কে ডিউটিতে থাকা হেড কনস্টেবল এসকে মূর্তির AK47 ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল একে মিশ্রা। কিয়স্কের পাশে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ, এক ইনস্পেক্টর ও ASI রন্জীত সারেঙ্গি। সুবীর প্রথমে ঘোষকে টার্গেট করে গুলি চালান মিশ্রা। সামনে চলে আসেন রন্জিত। পরিস্থিতি দেখে ছুটে পালান সুবীর ও ওই ইনস্পেক্টর। এরপর কার্যত গুলি বৃষ্টি করতে থাকে অভিযুক্ত জওয়ান। সুবীরকে খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। কিন্তু এলোপাথারি গুলি থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি। গুলি লাগে সুবীরের ঘোষের হাতে । পরপর গুলি করার পর একটি ব্যারাকে (৪ নম্বর ঘরটা) ঢুকে ভিতর থেকে দরজা আটকে দেন ওই জওয়ান ও আত্মগোপন করে নেয়। তারপর তাঁকে নিরস্ত্র করতে শুরু হয় অপরেশন মোজো।
কীভাবে নিরস্ত করা হয় অভিযুক্তকে?
রুটিন রোল কলের পর এক হেড কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পরপর ১৫ রাউন্ড গুলি চালায় একে মিশ্রা। তারপর একটি ব্যারাকের পাশে একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। সঙ্গে একে ৪৭। এরপর পুলিস আসে ঘটনাস্থলে। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে কমান্ডো বাহিনী প্রথমে ভিতরে যান। সঙ্গে অস্ত্র, টিয়ার গ্যাস। ওই জওয়ানের সঙ্গে ঘরের বাইরে থেকে কথা বলতে থাকেন পুলিস আধিকারিকরা । একে মিশ্রা জানান, অস্ত্র ছাড়া ভিতরে আসতে হবে। তাতে রাজি হয়ে ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে টিম ভিতরে ঢোকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ে। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তারপর রাজি করানো যায়। শেষমেষ সিপি এবং আইজি সিআইএসএফের সামনে আত্মসমপর্ণ করেন।
অন্যদিকে হাসপাতল সূত্রে খবর, সুবীর ঘোষ স্থিতিশীলই আছেন। আজকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। ডাক্তাররা রাউন্ড দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে। রন্জিত সারেঙ্গির ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও হাসপাতালে এসে পৌঁছয়নি। সেটা আসলে ময়নাতদন্ত শুরু হবেআনুমানিক ১২.৩০টা নাগাদ। সহকর্মীদের হেনস্থার শিকার হয়েই এই পদক্ষেপ বলে বিস্ফোরক দাবি অভিযুক্তের। দু-আড়াই মাস ধরে 'পরেসান' করছিল ডিপার্টমেন্টের লোক। জাদুঘরে গুলি চালানোর ঘটনায় এমনই উত্তর দিলেন অভিযুক্ত জওয়ান এ কে মিশ্র।