মুখ্যমন্ত্রী-হিলারি বিনিয়োগ-আলোচনায় ঠাঁই পেলেন না শিল্পমন্ত্রী

রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে বৈঠক হয়ে গেল শিল্পমন্ত্রীকে ছাড়াই। প্রথমে ঠিক ছিল বিনিয়োগ নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্পমন্ত্রীও থাকবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম বাদ দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে নিয়ে হিলারির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: May 8, 2012, 10:25 AM IST

রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে বৈঠক হয়ে গেল শিল্পমন্ত্রীকে ছাড়াই। প্রথমে ঠিক ছিল বিনিয়োগ নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্পমন্ত্রীও থাকবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম বাদ দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে নিয়ে হিলারির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনায় বিস্মিত শিল্প দফতর।  
মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে রাজ্যে মার্কিন বিনিয়োগের প্রসঙ্গ উঠবে, তা আগে থাকতেই জানা ছিল। সেই মতো প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বিনিয়োগ সম্পর্কিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও থাকবেন। সেইমতো প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মত বদলান মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বৈঠক থেকে বাদ দেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে নিয়ে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শেষ মুহূর্তে অমিত মিত্রকে বেছে নেওয়ার জন্য দুটি কারণ উঠে এসেছে।
প্রথমত, অমিত মিত্র দীর্ঘদিন আমেরিকায় থেকেছেন। সেখানে অধ্যয়ন করেছেন। দ্বিতীয়ত দীর্ঘ সময় আমেরিকায় থাকার কারণে তাঁর সঙ্গে মার্কিনিদের সম্পর্ক ভাল। তাই শেষ মুহূর্তে তাঁকেই বেছে নেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাদে প্রায় সব মন্ত্রীই মহাকরণে এসেছিলেন। শিল্পমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন দফতরে সন্ধে পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যে বিনিয়োগের প্রশ্নে হিলারি ক্লিন্টনের আশ্বাস পাওয়া সত্ত্বেও, বৈঠকের পরে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে তা নিয়ে কোনও আলোচনাই করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন শিল্পমন্ত্রীকে সরিয়ে বৈঠক করা হল, তা নিয়ে বিস্মিত শিল্প দফতর। কারণ, রাজ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ বা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা ভাল জানেন শিল্পমন্ত্রীই। যদিও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিল্প এবং তথ্য প্রযুক্তি দফতরেরও সচিব। মন্ত্রীকে না ডাকলেও শিল্পসচিবকে অবশ্য ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

.