দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি, অভিযোগ পার্থর, নিয়ম মানতে হবে, পাল্টা বাবুলের

ফের কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Updated By: Aug 12, 2019, 12:03 AM IST
দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি, অভিযোগ পার্থর, নিয়ম মানতে হবে, পাল্টা বাবুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর। আয়কর নোটিসের প্রতিবাদে ধরনার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ভোটের আগে বলেছিল, এখানে দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো করতে দেয় না। এখন ওরাই দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছে। বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় পাল্টা বলেন, নিয়মকানুন মানতে হবে সবাইকে।     

ফের কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোয় আয়করের প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল।  মঙ্গলবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ধর্নায় বসবে তৃণমূলের বঙ্গজননী শাখা। টুইটে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন চিটফান্ডের টাকায় পুজো হয়েছে। লাগাম টানতেই কড়া হচ্ছে আয়কর দফতর। পাল্টা বাবুল সুপ্রিয়র। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরের বেশ কয়েকটি বড় পুজো কমিটি। দুর্গাপুজো কমিটিগুলির ওপর কেন চাপানো হচ্ছে বাড়তি বোঝা? বেশ কিছুদিন আগেই এনিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই ইস্যুতে সরাসরি পথে নামতে দলকে নির্দেশ দিলেন তিনি। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন,আয়কর দফতর অনেক দুর্গাপুজো কমিটিকে কর দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে। আমরা আমাদের সব জাতীয় উত্সবকে নিয়ে গর্বিত। উত্সব সকলের। কোনও পুজোতে ট্যাক্স বসানো হোক, আমরা চাই না। এটা সংগঠকদের ওপর একটি বাড়তি বোঝা হবে। বাংলা সরকার গঙ্গাসাগর মেলার ওপর থেকে ট্যাক্স সরিয়ে নিয়েছে। আমাদের দাবি, দুর্গা পুজো ও কমিটিগুলির ওপর কোন রকম ট্যাক্স বসানো চলবে না। আগামী ১৩ই আগস্ট মঙ্গলবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের 'বঙ্গ জননী' শাখা ধর্নায় বসবে । কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীরা সহ সকলে, যারা বাংলাকে ভালোবাসেন, আসুন এবং যোগদান করুন।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ভোটের প্রচারে ওরা প্রচার করছিল বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় না। এখন নিজেরাই দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছে।' তার পাল্টা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় মন্তব্য করেছেন, চিটফান্ডের টাকায় দুর্গাপুজো হয়। নিয়ম-কানুন তো মানতে হবে। 

রাজনৈতিক চাপানউতোরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কলকাতার বেশ কয়েকটি নামী পুজো কমিটি। তাদের বক্তব্য, পুজো কমিটি কর্পোরেট সংস্থা নয়।

আরও পড়ুন- স্মৃতি হারিয়েছে, মনে ছিল মুদিয়ালির দুর্গাপুজো, সেই সূত্রেই সন্তানকে ফিরে পেলেন বাবা

.