SSC, Partha Chatterjee, Arpita Mukherjee: অর্পিতার জীবনবিমার কিস্তি দিতেন পার্থ!
৩১ অগস্ট পর্যন্ত দু'জনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক।
রণয় তেওয়ারি: অর্পিতার মুখোপাধ্য়ায়ের জীবনবিমার কিস্তি দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএমএস আসত প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত মোবাইলে! আদালতে বিস্ফোরক দাবি করলেন ইডির আইনজীবী। তবে ক'টির জীবন বিমার কিস্তি দিতেন? মোবাইলে কতগুলি মেসেজ এসেছেন? সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি তিনি।
ফের জেল হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা। এদিন তাঁদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। দু'জনকেই ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ফলে আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারেই থাকতে হবে প্রাক্তন মন্ত্রী, আর তাঁর বান্ধবী আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে।
ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার নামে ৩৩ টি এলআইসি পলিসি বা জীবন বিমা রয়েছে। ২০১২ সালেই ৩০ পলিসি করেন তিনি, তাও মাত্র ৮ দিনের ব্য়বধানে! বাকি ৩ পলিসি করা হয় ২০১৫ সালে। সবকটি পলিসিই সিঙ্গল প্রিমিয়াম অর্থাৎ একবার প্রিমিয়াম দিতে হয়। শুধু তাই নয়, সেই প্রিমিয়ামের টাকা নগদে দিয়েছিলেন অর্পিতা। বিনিয়োগের পরিমাণ ৮১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ৩০টি পলিসি ইতিমধ্যেই ম্যাচিওর করে গিয়েছে। সেই বাবদ ৫৬ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে অর্পিতার অ্য়াকাউন্টে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'কেউ ছাড়া পাবে না', মন্তব্য পার্থর! নিশানায় কারা?
জীবনবিমা এই বিপুল পরিমাণ কিস্তি কে দিয়েছেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলটি এখন ইডির হেফাজতে। এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, মোবাইল স্ক্যান করে জানা গিয়েছে, অর্পিতার জীবনবিমার কিস্তি দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মোবাইলে বেশ কয়েকটি মেসেজ ঢুকেছে, যাতে অর্পিতার জীবনবিমার কিস্তির মেটাতে বলা হয়েছে পার্থকে!
অর্পিতাকে নিয়মিত সোনার গয়নাও কিনে দিতেন পার্থ? ইডির নজরে মধ্যমগ্রামের স্বর্ণ বিপণি। সূত্রের খবর, ধ্যমগ্রামের নামী সোনার বিপণিতে যাতায়াত ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ওই সোনার দোকানে যেতেন তিনি। কেন? বান্ধবীকে দামী ও রীতিমতো ব্র্যান্ডেড গয়না কিনতে দিতেন সদ্য অপসারিত মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যখন তিনি নিজে যেতে পারতেন না, তখন দোকান থেকে ফোন করে পছন্দের গয়না সম্পর্কে পার্থকে জানিয়ে দিতেন অর্পিতা। তারপর সেই গয়না পৌঁছে যেত অর্পিতার বিভিন্ন ফ্ল্যাটের ঠিকানায়। এমনকী, মধ্যমগ্রামে ওই সোনা দোকান মাসিক খাতা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal Daughter: পরেশকন্যার চাকরি গেলেও হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি কেষ্ট-কন্যার!
গ্রেফতারির পরে ২ দফায় ইডি হেফাজতে ছিলেন পার্থ-অর্পিতা। ৫ অগাস্ট, তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সেদিন রাতেই পার্থকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধানারে। অর্পিতাকে রাখা হয় আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে।