পাড়ুই কাণ্ডে নতুন বিচারপতির এজলাসেও রাজ্যকে কড়া সমালোচনা
বিচারপতি বদলালেও কমল না অস্বস্তি। পাড়ুই মামলায় হাইকোর্টে ফের অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য ? রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।
বিচারপতি বদলালেও কমল না অস্বস্তি। পাড়ুই মামলায় হাইকোর্টে ফের অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য ? রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পাড়ুই মামলায় হাইকোর্টে অনুব্রত অস্বস্তি এড়াতে পারল না রাজ্য সরকার। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শুক্রবার মামলাটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। "অব্যাহতির আগে অনুব্রত প্রশ্নে রাজ্য পুলিসকে কড়া ভত্সনা করেছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের পর লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও, অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন, কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চ ভাগ করে নিতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যপুলিসের ডিজিকেও তলব করেছিলেন তিনি। দীপঙ্কর দত্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে ওঠে পারুই মামলা। প্রথমদিনের শুনানিতেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তানিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি ট্যান্ডন।
অনুব্রতর নাম না করেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের প্রশ্ন,একটি এফআইআর দায়ের করা ছাড়া ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কসবার জনসভায়, নির্দল প্রার্থীদের ঘর জ্বালানো ও পুলিসকে বোমা মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই বিতর্কিত ফুটেজের ভিত্তিতে কি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত না।
বিচারপতির কাছে অনুব্রতের হয়ে সওয়াল করার চেষ্টা করেন সরকারি আইনজীবী অশোক ব্যানার্জি। বলেন, নির্দল প্রার্থীদের ঘর জ্বালানোর কথা বললেও, আদতে তা আত্মরক্ষার জন্য বলেছিলেনঅনুব্রত মণ্ডল। বিচারপতি ট্যান্ডন বলেন ডিজিকে আসতে দেওয়া হয়নি। তাই হলফনামা দিক রাজ্য। হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আগামী মাসের দু তারিখ পর্যন্ত সময় চান সরকারী আইনজীবী । আইনজীবীর দাবি মেনে নেন বিচারপতি ট্যান্ডন ।