ছট পুজো করতে চেয়ে রবীন্দ্র সরোবরে বিক্ষোভ, ভেঙে দেওয়া হল গেটের তালা
সরোবরের মধ্যেই তারা ছট পুজো করতে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা।
শ্রাবন্তী সাহা : শনিবার ছটপুজোর সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রবীন্দ্র সরোবর চত্বর। সকাল ৭টা নাগাদ সরোবরের তিন নম্বর গেটের তালা ভেঙে বেশ কিছু মানুষ প্রবেশ করে। সরোবরের মধ্যেই তারা ছট পুজো করতে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা।
এর পর মাদার ডেয়ারি গেট ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় কেএমডিএ-এর নিষেধাজ্ঞার নোটিস ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ ধীরে ধীরে বড় আকার নিলেও বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত সেখানে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিস পৌঁছয়নি।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিতর্ক ছিলই। পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিধিনিষেধ আনা হলেও তা রাজনৈতিক মোড়ক নেয়। রবীন্দ্র সরোবরে পুজো নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় শাসক ও বিজেপি পক্ষের মধ্যে। পরিবেশ দূষণ রোধের উদ্দেশ্যে কোনও মতেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিবেশ আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আগেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধের সুপারিশ করেছিল। তা সত্ত্বেও গত দুই বছর অবাধে ছট পুজো হয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর। আর তার ফলে হয়েছে দূষণও। এবছর আদালতের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সরোবরে সম্পূর্ণরূপে ছট পুজো বন্ধের পথে হেঁটেছে কেএমডিএ। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সরোবরের গেটে। বিকল্প হিসাবে শহরের ১০টি পুকুরে ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : আগামী ৭ নভেম্বর কি তবে বিজেপিকে ছেড়ে 'ঘরওয়াপসি' শোভনের? তুঙ্গে জল্পনা
শনিবার সকাল ৭ টা নাগাদ বেশ কিছু মানুষ রবীন্দ্র সরোবরের গেটে জড়ো হয়। তারা দাবি তোলে, রবীন্দ্র সরোবরেই প্রতি বছরের মতো ছট পুজো করতে দিতে হবে। এর পরেই ভেঙে দেওয়া হয় ৩ নং গেটের তালা। গেটে লাগানো কেএমডিএ-এর লাগানো সচেতনতামূলক পোস্টা-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ছট পুজো করার জন্য যে বিকল্প ছোট স্থান দেওয়া হয়েছে, সেখানকার জল অত্যন্ত্য দূষিত। সেই জলে তাই পুজো সারতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। কলকাতা শহর খুঁজে ১০টি পুকুরকে চিহ্নিত করেছে কেএমডিএ। নোনাডাঙা ৩ নম্বর ঘাট, জোধপুর পার্ক জলাশয়, রামধন পার্ক, গোবিন্দন কুট্টি, মাদুরতলা ঝিল, নববৃন্দাবন ঝিল, ১০ নম্বর পুকুর, লালকা পুকুর, কাটজু নগর পুকুর ও রুবি হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী জলাশয়কে ছট পুজোর আচার পালনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ছট পুজোর জন্য এই পুকুরগুলিতে কেএমডিএ-র তরফে আলো, শৌচালয় ও জামাকাপড় বদলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহল করতে ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।