Mamata Banerjee: আদালতের বিচার কখনও একপক্ষের নয়, নিরপেক্ষ হয়: মমতা
তাই মিডিয়ার বন্ধুদের বলছি, কোনও মিডিয়া ট্রায়াল নয়। এটা আমার অনুরোধ। কাউকে ডিফেম করবেন না। একমাত্র সত্যিটাই লিখুন।
![Mamata Banerjee: আদালতের বিচার কখনও একপক্ষের নয়, নিরপেক্ষ হয়: মমতা Mamata Banerjee: আদালতের বিচার কখনও একপক্ষের নয়, নিরপেক্ষ হয়: মমতা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/25/386987-2.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিউ সেক্রেটারিয়েটের বি ব্লকে উদ্বোধন হল কলকাতা হাইকোর্টের নতুন বিভাগের। সেই অনুষ্ঠানে মামলা চলাকালীন মিডিয়া ট্রায়াল থেকে শুরু করে হাইকোর্টে পড়ে থাকা মামলা নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, মানুষ এখানে আসেন ন্য়ায়বিচার পেতে। আর ন্যায় কখনও একপক্ষ হয় না। ন্যায়বিচার সবসময়ে নিরপেক্ষ হয়। হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি-সহ অন্যান্য বিচারপতিদের উপস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষ যখন সব জায়গায় আস্থা হারিয়ে ফেলে তখন বিচারব্যবস্থার কাছে আসে। একটা অনুরোধ আমরা রয়েছে। বহু মামলা পড়ে রয়েছে। ওইসব মামলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার করুন। আরও কিছু মহিলা বিচারপতি দিন। জানি আপনারা অনেক চেষ্টা করছেন। তবুও বলব যেসব মামলা ৩-৪ বছর পড়ে রয়েছে তার নিস্পতি দ্রুত করার ব্যবস্থা করুন। কোনও মিডিয়া ট্রায়াল নয়, প্লিজ। বিচারব্যবস্থা চলে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। তাই মিডিয়ার বন্ধুদের বলছি, কোনও মিডিয়া ট্রায়াল নয়। এটা আমার অনুরোধ। কাউকে ডিফেম করবেন না। একমাত্র সত্যিটাই লিখুন।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে 'অভিমানী' কুণাল! দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন মুখপাত্র?
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোট ৮৮টি ফাস্টট্র্যাক কোর্ট ছিল। সবকটিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে তখন চন্দ্রিমা এসে বলে ৮৮টি কোর্টই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তখন আমি বলি আমরা নিজেদের টাকায় ওইসব কোর্ট চালু করব। এদের মধ্যে ৫৫টি মহিলাদের মামলার বিচারের জন্য। বাকীগুলো সবার জন্য। এছাড়াও ৭টি পক্সো আদালতও চালু করেছি। শিলিগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ চালু করা হয়েছে। স্বাধীনাতার সময়ে বহু উল্লেখযোগ্য মামলার সাক্ষী হল কলকাতা হাইকোর্ট। নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের বি ব্লকে হাইকোর্টের নতুন বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, হাইকোর্টে রোজই বহু মানুষ আসেন। বিচারপতিরা কাজ করার জন্য ঘর পাচ্ছেন না। সেসব কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক মামলা নিয়ে বেশ বিপাকে রাজ্য সরকার। অনুব্রত মামলায় গতকাল আসানসোল বিশেষ আদালতে আইনিজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, তদন্তের বিষয় মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যাচ্ছে কীভাবে। এরকম এক পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মমতার ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অবস্থান থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন। যত তদন্ত চলছে তা হচ্ছে আদালতের নজরদারিতে। কেউ গ্রেফতার হলে, কোনও জায়গায় রেইড হলে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এখন সরাসরি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে তৃণমূল কিছু বলতে পারছে না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলছে।