পুলিসের জালে আন্তঃরাজ্য ডাকাত দল
বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার চার কুখ্যাত ডাকাত। উদ্ধার প্রায় দু কোটি টাকার সোনার গয়না, নগদ টাকা ও বন্দুক। বেনিয়াপুকুর IIFL থেকে সোনা লুঠের পিছনেও হাত রয়েছে এই চক্রের। ধৃতদের জেরা করতে বিহারে পৌছছে কলকাতা পুলিসের টিম।
ওয়েব ডেস্ক: বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার চার কুখ্যাত ডাকাত। উদ্ধার প্রায় দু কোটি টাকার সোনার গয়না, নগদ টাকা ও বন্দুক। বেনিয়াপুকুর IIFL থেকে সোনা লুঠের পিছনেও হাত রয়েছে এই চক্রের। ধৃতদের জেরা করতে বিহারে পৌছছে কলকাতা পুলিসের টিম।
পার্ক স্ট্রিটের ইন্ডিয়া ইনফো লাইন। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার এই দোকানে চড়াও হয় ডাকাতদল। ৩ কোটি টাকার সোনা লুঠ করে চম্পট দেয়। ডাকাতির আগে CCTV ক্যামেরা বন্ধ করে দেয় ডাকাত দল। কিন্তু, নিচের বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় দুজনের ছবি। সেই ছবি হাতে নিয়েই তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পর পুলিস বুঝতে পারে দুষ্কৃতী দল সম্ভবত বিহারের। তদন্তে সঙ্গী করা হয় বিহারের পুলিসের দলকেও।
বুধবার গয়া শেরঘাটি থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তাদের জেরা করে হদিশ মেলে আরও দুজনে। জেরার পর গ্রেফতার করা হয় চারজনকেও। ডাকাত দলের ছক ফাঁস হয়। জানা যায়- ৪জনের কুখ্যাত ডাকাত দল ২০০৬ থেকে ডাকাতি করছে। বিহার-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ১৬-১৭ টি ব্যাঙ্ক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত এরা। দুর্গাপুরের দেনা ব্যাঙ্ক, শ্রীরামপুরের UCO ব্যাঙ্ক ও বালির একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি করে ডাকাত দলটি।
ধৃতদের কাছ থেকে ২ কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা,৬টি দেশি বন্দুক, ২৪ রাউন্ড কার্তুজ ও ৯টি মোবাইল ফোন মিলেছে। উদ্ধার হওয়া গয়না সঙ্গে মিল রয়েছে IIFL-এ লুঠ হওয়া গয়নার। তার থেকেই তদন্তকারীদের ধারণা IIFL-এর গয়না লুঠের পিছনে হাত ছিল এই চক্রেরই। ধৃতদের জেরা করতে কলকাতা পুলিস ওবারাকপুর কমিশনারেটের একটি টিম বিহার পৌছছে। (আরও পড়ুন- মালদহের চাঁচোলে পুলিস পরিচয় দিয়ে ডাকাতদলের লুঠপাট)