পুলকারে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্তকে সাহায্যের অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে

রাজ্যে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেরবার পরিস্থিতির মধ্যেই আবার কলকাতার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। এবার অভিযোগ উঠেছে গড়িয়াহাট থানার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চালকের নাম, ঠিকানাসহ বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিস।

Updated By: Aug 23, 2012, 07:56 PM IST

রাজ্যে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেরবার পরিস্থিতির মধ্যেই আবার কলকাতার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল পুলিসের ভূমিকা। এবার অভিযোগ উঠেছে গড়িয়াহাট থানার বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ কলকাতায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে পুলকারের চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ওই শিশুর মা জানাতে পারেন গত ২ অগাস্ট। এর পর ১১ অগাস্ট গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর করেন ছাত্রীর অভিভাবকরা। চালকের নাম, ঠিকানাসহ বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ পর্যন্ত অভিভাবকদের চাপে এবং কার্যত তাঁদেরই উদ্যোগে অভিযুক্ত পুলকার চালক শমিত সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিসের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। প্রথম, গত ১১ অগাস্ট অভিযোগ জানানো হলেও পুলিস কোনও গুরুত্ব দেয়নি। এমনকী গ্রেফতারের কোনও চেষ্টাই নাকি পুলিস করেনি। এছাড়া নিগৃহীতা শিশুর মা যখন অভিযোগ জানাতে আসেন, তখন অভিযোগের বয়ান বলে দেয় পুলিসই। অভিযুক্ত পুলকার চালককে জামিন অযোগ্য ধারাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিসের তরফে অভিভাবকদের জানানো হয়।
যদিও আইনজীবীরা জানিয়েছেন এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আঘাত করা (৩২৩), জোর করে আটকে রাখা (৩৪১), শ্লীলতাহানি (৩৫৪) এবং অপরাধ সংগঠিত করার (৫০৯) ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এই প্রত্যেকটিই জামিনযোগ্য ধারা। ফলে অভিযুক্ত খুব দ্রুত মুক্তি পাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আইনজীবীদের একাংশের ধারণা সরাসরি ধর্ষণ (৩৭৬) এবং ধর্ষণের চেষ্টা (৫১১) এই দুই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করলে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব হত না অভিযুক্তের।
আদতে এক্ষেত্রে পুলিসের শুধুমাত্র আইন অনুসারে ব্যবস্থা নয়, দৃষ্টান্তমূলক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে একদিকে পুলকারের কোনও চালক ভবিষ্যতে এমন কাজের সাহস পেত না, আবার অভিভাবকরাও পুলকারে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিরাপত্তাবোধ করতেন। নাগরিকদের পাশে থাকত পুলিস।

.