অগ্নিমূল্য বাজারের কারণ আলুর দোষ না পেঁয়াজের ঝাঁঝ! রহস্য খুঁজতে সরেজমিনে ২৪ ঘণ্টা
ফের বাজারে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ।। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আলুর দামও। অতিপ্রয়োজনীয় এই দুটি সব্জির দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। কিন্তু কী কারণে দাম বাড়ছে পেঁয়াজ আলুর? কারণ খুঁজলো চব্বিশ ঘণ্টা।
ফের বাজারে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ।। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আলুর দামও। অতিপ্রয়োজনীয় এই দুটি সব্জির দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। কিন্তু কী কারণে দাম বাড়ছে পেঁয়াজ আলুর? কারণ খুঁজলো চব্বিশ ঘণ্টা।
মানিকতলা থেকে লেকমার্কেট। উত্তর থেকে দক্ষিণ। কলকাতার প্রতিটি বাজারেই পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি তিরিশ থেকে বত্রিশ টাকা। আর পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল সাধারণ মানুষের। কিন্তু কী কারণে চড়া দামে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ? কী বলছেন ব্যবসায়ীরা? পেঁয়াজের পাশাপাশি বাড়ছে আলুর দামও। প্রায় প্রতিটি বাজারেই জ্যোতি আলু বিকোচ্ছে কেজি প্রতি সতেরো থেকে আঠারো টাকায়। চন্দ্রমুখী আলুর ক্ষেত্রে দাম পড়ছে কেজি প্রতি কুড়ি থেকে বাইশ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী আলুর দাম চোদ্দ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দিলেও বাস্তবে সেই দামে আলু বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
চাষিদের কাছ থেকে পঞ্চাশ কেজি আলু সাড়ে চারশো থেকে চারশো সত্তর টাকায় কিনছেন ব্যবসায়ীরা। সেই আলু মজুত রাখতে হিমঘর বাবদ খরচ পড়ছে সত্তর টাকা। চাষীদের কাছ থেকে আনা আলু ঝাড়াই বাছাই করতে খরচ হচ্ছে কুড়ি টাকা। শ্রমিক বাবদ খরচ পড়ছে ষাট টাকা। এরপর হিমঘর থেকে কলকাতার বাজারগুলিতে আলু সরবরাহ করতে পরিবহণে খরচ হচ্ছে বেশ কিছু টাকা। অর্থাত্ সব মিলিয়ে পঞ্চাশ কেজি আলুতে খরচ হচ্ছে সাতশো টাকা।
অর্থাত্ মাঠ থেকে ঝাড়াই বাছাই হয়ে হিমঘর ঘুরে বাজারে আসতে আসতেই আলুর দাম ছুঁয়ে ফেলছে প্রায় হাজার টাকার কোটা। পাইকারী ব্যবসায়ীদেরই কিনতে হচ্ছে ষোলো টাকায়। স্বাভাবিকভাবেই কিছু লাভ রেখে খুচরো ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কেজি প্রতি সতেরো থেকে আঠারো টাকায়। এতদিন পেঁয়াজ একাই কাবু করেছিল মধ্যবিত্তকে। এবার আলু-পেঁয়াজের সাঁড়াশি চাপে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।