আলু সঙ্কটের সুলুকসন্ধান
রাজ্যে আলুর উতপাদন হয় পঁচানব্বই মেট্রিক টন। আলুর চাহিদা ষাট মেট্রিক টন। তাহলে কেন এই আলু সঙ্কট? বেশি দামে ভিন রাজ্যে আলু বিক্রীই কী একমাত্র কারণ? কি বলছে সরকার? আলু সঙ্কটের সুলুকসন্ধানে চব্বিশ ঘণ্টা।
কলকাতা: রাজ্যে আলুর উতপাদন হয় পঁচানব্বই মেট্রিক টন। আলুর চাহিদা ষাট মেট্রিক টন। তাহলে কেন এই আলু সঙ্কট? বেশি দামে ভিন রাজ্যে আলু বিক্রীই কী একমাত্র কারণ? কি বলছে সরকার? আলু সঙ্কটের সুলুকসন্ধানে চব্বিশ ঘণ্টা।
আলুতে সঙ্কটের কারণ
আমাদের রাজ্যে নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করে মূলত এপ্রিলের দোরগোড়ায়। কিছু আলু আসে বাজারে আর অধিকাংশ আলুই যায় হিমঘরে। আলু বিক্রী করে কৃষক পান নয় থেকে দশ টাকা। মূল সঙ্কট শুরু হয় জুন থেকে জুলাই মাসে যখন হিমঘরের আলু বাজারে আসতে শুরু করে। বাজারদর ভাল থাকলে বারো থেকে তেরো টাকায় কৃষক আলু তুলে দেন ব্যবসায়ীর হাতে। তার উপর চার টাকা খরচপাতি ধরে সতেরো থেকে আঠারো টাকায় আলু আসে পাইকারী বাজারে। শেষ পর্যন্ত বাজারে আলুর দাম দাড়িয়ে যায় বাইশ থেকে তেইশ টাকা। আমাদের রাজ্যে আলুর চাহিদা প্রায় ষাট মেট্রিক টন। গড়ে আলু উতপাদন হয় প্রায় পঁচানব্বই মেট্রিক টন। বাড়তি আলু মূলত যায় বিহার, ওড়িশা এমনকি পাকিস্তানেও।
সঙ্কটের শুরু এখানেই
ভিন রাজ্যে বেশি দাম পেলে ব্যবসায়ীরা ছোটেন সেদিকেই। সরকারের মতে সেকারণেই এরাজ্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। আর তাতে রাশ টানতেই সরকার জানিয়ে দিয়েছে ভিন রাজ্যে সাতশো মেট্রিক টন আলু বিক্রী করতে হলে এরাজ্যে চোদ্দ টাকায় বিক্রী করতে হবে তিনশো মেট্রিক টন। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তেই বেঁকে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকার এবং আলু ব্যবসায়ীদের চাপানউতোরের ফলে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারাই। তাঁদের কে আলু কিনতে হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া দামে।