শহর জুড়ে হোর্ডিং, মুক্তি চাই মদন মিত্রের
মদন মিত্রর মুক্তির দাবিতে হোর্ডিংয়ে ভরছে শহর। তাতে কিন্তু তৃণমূলের নাম নেই। সাত মাসের বন্দিদশা কি তবে চিড় ধরাল, দিদির ওপর দাদার আস্থায়?
১২ ডিসেম্বর, ২০১৪
গ্রেফতার মদন মিত্র। সৃঞ্জয় বসু, রজত মজুমদাররা জামিনে মুক্ত। গ্রেফতারের পর প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কপাল খোলেনি মদন মিত্রর। তার অনুগামীরা তাঁদের দাদার মুক্তি চাইছেন। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কিন্তু, হোর্ডিংয়ে তৃণমূলের নাম না থাকলে খটকা তো লাগবেই। তবে কি দলের মধ্যেই আলাদা কোনও প্রস্তুতি নিচ্ছে মদন-ব্রিগেড?
২৫ জুন, ২০১৫
মদন মিত্রর জামিনের শুনানিতে তাঁর আইনজীবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেন। তিনি বলেন, সুদীপ্ত সেনের অফিসে মদন মিত্রর ছবি দেখে প্রভাবিত হয়েছিলেন, সারদায় প্রতারিত চাঁচলের বাসিন্দা আশরাফুল হকের বয়ানে শুধুমাত্র এ কথা নেই। কলম পত্রিকার উদ্বোধনেও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে প্রভাবিত হওয়ার কথা রয়েছে ওই আমানতকারীর বয়ানে। গ্রেফতার হওয়ার পর মদনের মুখে শোনা গিয়েছিল, মমতা জিন্দাবাদ। সেই আস্থা কি এখনও আছে? দিদির বিরুদ্ধে একটা কথাও তিনি প্রকাশ্যে বলেননি। কিন্তু, অনুগামীরাই আড়ালে বলছেন, দাদা হতাশ।
সামনে টার্গেট সিবিআই। কিন্তু, পিছনে আসল টার্গেট কি নিজের দলই? আদালতে আইনজীবী মুখ্যমন্ত্রীকে টেনে আনছেন। দলের তরফে নয়। অনুগামীরা নিজেদের উদ্যোগে দাদার মুক্তির দাবিতে কলকাতায় তিনশো হোর্ডিং দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মদন মিত্রর সম্মতি ছাড়া কি এ সব হওয়া সম্ভব? রাজনৈতিক মহল কিন্তু মনে করছে, না। আর তাই যদি হয়, তা হলে কি রামভক্ত হনুমানও এ বার মুকুলের রাস্তায়? বিদ্রোহের পথে? একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের ঘরে অস্বস্তি বাড়ছে, সন্দেহ নেই।