মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে বসিয়েই পরমাণু কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

পাশে বসে মুখ্যমন্ত্রী। বিতর্কিত পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করতে ঠিক সেই মঞ্চটাকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিজ্ঞান কংগ্রেসের শততম অধিবেশনের মঞ্চে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীরসওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। এফডিআই সহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক বিরোধিতাকে উপেক্ষা করেই এগোবেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করে সেই মনোভাবটাই ফের স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাত্‍ রাজনৈতিক বিচ্ছেদের পরে বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার পাশাপাশি এলেও তাঁদের রাজনৈতিক দূরত্ব যে কমল না, তা স্পষ্ট।

Updated By: Jan 3, 2013, 09:33 AM IST

পাশে বসে মুখ্যমন্ত্রী। বিতর্কিত পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করতে ঠিক সেই মঞ্চটাকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিজ্ঞান কংগ্রেসের শততম অধিবেশনের মঞ্চে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। এফডিআই সহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক বিরোধিতাকে উপেক্ষা করেই এগোবেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করে সেই মনোভাবটাই ফের স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাত্‍ রাজনৈতিক বিচ্ছেদের পরে বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার পাশাপাশি এলেও তাঁদের রাজনৈতিক দূরত্ব যে কমল না, তা স্পষ্ট।
বরাবরই পরমাণু বিদুত্ প্রকল্পের পক্ষে  প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর মতে, পরিবেশের স্বার্থে পরমানু বিদ্যুতের কোনও বিকল্প নেই। ভারতে পাঁচটি পরমানু বিদ্যুত্কেন্দ্র তৈরিতে সাহায্যের জন্য দু হাজার নয়ে রাশিয়া সফরে গিয়ে সেদেশের সংস্থা রোসাটং-এর সঙ্গে চুক্তিও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচটির মধ্যে একটি হওয়ার কথা ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের হরিপুরে। কিন্তু বরাবরই পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দেশের সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক,ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় তিনি দেশের সর্বত্র যাবেন। সবকিছুরই একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত। যদি কেউ সেই রেখা পার করেন, তাহলে তিনি  সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়াবেন বলেও জানিয়ে ছিলেন।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে হরিপুরে পরমানু বিদ্যুত্কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেষ বাতিল হয় হরিপুর পরমাণু বিদ্যুত্ প্রকল্প। তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলামে পরমাণু বিদুত্ প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব সংগঠনগুলি চিঠি দেয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বিক্ষোভকারীদের পাশে আছেন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়েই বৃহস্পতিবার ফের  পরমাণু বিদুত প্রকল্পের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে সেই মঞ্চেই রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে তখন বসে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। রাজ্যের বেহাল আর্থিক অবস্থা সামলাতে বারবার কেন্দ্রের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সাংবিধানিক নিয়মের কথা তুলে সাহায্য দেয়নি কেন্দ্র। তৃণমূল ইউপিএ ছাড়ার পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বক্তৃতায়, ফেসবুকে বারবারই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে নকল করে বিতর্কেও জড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান কংগ্রেসের শততম অধিবেশনের মঞ্চেও সেই দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল ইউপিএ ছেড়ে আসার পরে প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রীকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একমঞ্চে হাজির হলেন দুজন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট হল বরফ গলেনি। বদলায়নি সংঘাতের আবহ।

.