লকডাউনে বন্ধ মন্দির, নেই প্রণামী, অর্থকষ্ট মেটাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি পুরোহিতদের
করোনা মোকাবিলায় গত ২৪ মার্চ থেকে রাজ্যে জারি লকডাউন। তখন থেকেই মন্দিরে ভক্তদের আসা বন্ধ। জমায়েত এড়াতে মন্দিরগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধ মন্দির। আসছেন না কোনও ভক্ত। অতঃপর নেই দক্ষিণা, প্রণামী। লকডাউনের পর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন মন্দিরের পুরোহিত, পাণ্ডারা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
করোনা মোকাবিলায় গত ২৪ মার্চ থেকে রাজ্যে জারি লকডাউন। তখন থেকেই মন্দিরে ভক্তদের আসা বন্ধ। জমায়েত এড়াতে মন্দিরগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করতে চাইছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কিন্তু এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন অনেক জীবীকার মানুষই। তাঁদেরই মধ্যে পড়েন মন্দিরের পুরোহিতরাও। কারণ পুজার সামগ্রী ও প্রণামী দিয়েই রাজ্যের বেশিরভাগ পুরোহিতের দিন গুজরান হয়ে থাকে।
মদের হোম ডেলিভারি করা হচ্ছে না, জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিস
পরিসংখ্যান বলছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে ২ হাজার জন্য পৌরহিত্য করে সংসার চালান। তাঁরা চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। সমস্যায় রয়েছেন পাণ্ডারাও। দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট কিংবা কলকাতার অন্যান্য মন্দিরগুলি চত্বরের দোকানমালিকদের অবস্থাও শোচনীয়। সমস্যায় পড়েছেন মন্দিরে সামনে ফুলের মালা, পসরা সাজিয়ে বসা ছোটো ব্যবসায়ীরাও।
করোনা মোকাবিলায় বাড়তে পারে লকডাউনের মাত্রা। যদিও কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রাজ্য এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলেনি। তবুও যদি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ে, তাহলে আরও সমস্যায় পড়তে পারেন পুরোহিত, পাণ্ডা ও ছোটো ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।