VLTT in Bus: যাত্রী নিরাপত্তায় VLTT বসানোর তালিকায় শুধুই বেসরকারি বাস! পরিবহণ সচিবকে চিঠিকে বাসমালিকদের
কলকাতা বাস মিনিবাস অপারেটর ইউনিয়নের কর্তা প্রদীপ বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এই মর্মে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মেল করা হয়েছে। উত্তর আসেনি। চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রীকেও। সাড়া মেলেনি। তাই আজ পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিবকে এই মর্মে চিঠি দিল বেসরকারি বাস মালিকদের সবকটি সংগঠন
![VLTT in Bus: যাত্রী নিরাপত্তায় VLTT বসানোর তালিকায় শুধুই বেসরকারি বাস! পরিবহণ সচিবকে চিঠিকে বাসমালিকদের VLTT in Bus: যাত্রী নিরাপত্তায় VLTT বসানোর তালিকায় শুধুই বেসরকারি বাস! পরিবহণ সচিবকে চিঠিকে বাসমালিকদের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/02/22/407892-7.png)
অয়ন ঘোষাল: দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের পর মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক অধিকাংশ রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের আইন অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যের সব বেসরকারি বাস, মিনিবাস, হলুদ ট্যাক্সিতে VLTT বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ডিভিইসটির মাধ্যমে কোনও নির্দিষ্ট যান কোথায় তা খুঁজে পাওয়া যায়। খরচের কারণ দেখিয়ে এনিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল বেসরকারি বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন। এবার তারা দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলল।
আরও পড়ুন- ভয়ংকর পরিস্থিতি, বুধবার আদানি গ্রুপ কত টাকা হারাল জানলে চোখ কপালে উঠবে
তেলের দাম বেড়েছে অথচ বাসের ভাড়া বাড়েনি। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাস-ট্যাক্সি মালিকদের। কারণ কোভিড পরবর্তী মন্দার বাজারে ১১ হাজার টাকা খরচ করে ভিএলটিটি বসানো তাদের পক্ষে কষ্টকর। এবার পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন সংগঠনের কর্তারা।
সাম্প্রতিক কালে শহরে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে স্কুটি বা বাইকের বেপরোয়া মনোভাবে। তারা ওই ভিএলটিটির বসানোর তালিকায় নেই। যে গণ পরিবহনের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি যাত্রী হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ, সেই অটোকেও রাখা হয়নি VLTT তালিকায়। সব থেকে বড় কথা, রাজ্য সরকারের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা, অর্থাৎ সরকারি বাসেও এক্ষুনি VLTT লাগানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। যুক্তি, সেখানে GPS আছে। কিন্তু প্যানিক বটন নেই। অথচ লকডাউনের পর থেকে ক্রমাগত ধুঁকতে থাকা বেসরকারি বাস মালিকদের বাস ভাড়া বাড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ তাদের ওপর VLTT লাগু করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
কলকাতা বাস মিনিবাস অপারেটর ইউনিয়নের কর্তা প্রদীপ বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এই মর্মে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মেল করা হয়েছে। উত্তর আসেনি। চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রীকেও। সাড়া মেলেনি। তাই আজ পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিবকে এই মর্মে চিঠি দিল বেসরকারি বাস মালিকদের সবকটি সংগঠন।