মানস ভুঁইঞাকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ চিঠি গেল হাইকম্যান্ডের কাছে
মানস ভুঁইঞাকে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ডের জন্য এবার সরাসরি চিঠি গেল হাইকমান্ডের কাছে। অভিযোগ, দলবিরোধী কাজের। কংগ্রেসে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করছেন তিনি। অভিযোগ অধীর চৌধুরীর। পাল্টা মানসের তোপ, সবটাই অধীর-মান্নানের পরিকল্পিত চক্রান্ত।
ওয়েব ডেস্ক : মানস ভুঁইঞাকে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ডের জন্য এবার সরাসরি চিঠি গেল হাইকমান্ডের কাছে। অভিযোগ, দলবিরোধী কাজের। কংগ্রেসে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করছেন তিনি। অভিযোগ অধীর চৌধুরীর। পাল্টা মানসের তোপ, সবটাই অধীর-মান্নানের পরিকল্পিত চক্রান্ত।
মানস ভুঁইঞা ভার্সেস প্রদেশ কংগ্রেস। যুদ্ধ চলছিলই। এবার সংঘাত আরও তীব্র। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে যে গণ্ডগোলের শুরু, তা এখনও না ছাড়তে অনড় মানস ভুঁইঞা। প্রায় দেড় মাস ধরে চলছিল বাগযুদ্ধ। সকাল-দুপুর-সন্ধে, কখনও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের ঘরে বসে, কখনও বিধানসভার বাইরে, কখনও রাস্তায়, সুযোগ পেলেই অধীর-মান্নানের বিরুদ্ধে তোপ দাগছিলেন মানস ভুঁইঞা। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা। এরই ফাঁকে তাঁর নিজের ভাই এবং সবংয়ের অনেক নেতা কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে।
শুক্রবার বিধানসভায় বসে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক। বিধানসভায়এলেও, বৈঠক বয়কট করেন মানস। অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের বিধায়করা। কেন এভাবে প্রতিদিন দলেরই একজন নেতা দলকেই গালিগালাজ করবেন, প্রশ্ন তোলেন একাধিক বিধায়ক। শেষপর্যন্ত অধীর চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে, তাঁকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার সুপারিশ AICC-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। আরও একধাপ এগিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, মানসকে বহিষ্কারের সুপারিশ করছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির খবর শোনার পরই, পাল্টা অল আউট অ্যাটাকে মানস ভুঁইঞাও।