পুজো আসছে, সাজছে শহর, বাকি আর মাত্র ৩০দিন

শহরের বুকে শরতের কাশফুল। মন্ডপে মন্ডপে শিল্পীর ব্যস্ততা। মহানগরীর আনাচে কানাচে পুজোর হোর্ডিং-ব্যানার-ফ্লেক্স। কেনাকাটায় মত্ত আমজনতা। সবের মিশেলে পুজো আসছে।

Updated By: Sep 9, 2013, 08:44 PM IST

শহরের বুকে শরতের কাশফুল। মন্ডপে মন্ডপে শিল্পীর ব্যস্ততা। মহানগরীর আনাচে কানাচে পুজোর হোর্ডিং-ব্যানার-ফ্লেক্স। কেনাকাটায় মত্ত আমজনতা। সবের মিশেলে পুজো আসছে।
আবার সে এসেছে ফিরিয়া। হ্যাঁ। আসছে পুজো। আর মাস গোনা নয়। এবার দিন গোনার পালা। যুদ্ধজয়ের লক্ষ্যে ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র যে অকাল বোধনের সূচনা করেছিলেন, বাঙালির কাছে তা কালক্রমে হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃহত্তম মহোৎসব। শুধু উত্সবই নয়, পুজো মানে শিল্পভাবনা, পুজো মানে একরাশ খুশি, পুজো মানে অনাবিল আনন্দ।
বছরের চারটে দিন দারিদ্র, অনটন, অশান্তি, অপ্রাপ্তি ভুলে শুধুই অপরিসীম পরিতৃপ্তি। স্বাধীনতা দিবসের পর থেকেই শহরের অলি-গলির দোকান থেকে শুরু করে ঝাঁ চকচকে দামি শপিং মলে নিজের আউটফিট খুঁজে নিতে বাঙালির ব্যস্ত আনাগোনা। পায়ের জুতো থেকে মাথার ক্লিপ-হেয়ারব্যান্ডে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে নেবার পালা।
কারণ শুধু ঠাকুর দেখার নাম পুজো নয়। ঠাকুর দেখার ফাঁকে পেট পুজোও পুজোর শেষ কথা নয়। পুজো মানে আপাদমস্তক নিজেকে সাজিয়ে তোলার পালা। পুজো মানে প্রেম। পুজো মানে বেড়ানো। সবকিছুর মিশেলে পুজো কথাটাই বাঙালির মনে হিল্লোল তোলে। বয়স আট হতে পারে বা আশি। শরীর সায় দিতে পারে। নাও পারে। তবু পুজো এলে বাঙালিকে আটকে রাখে এমন সাধ্য কার আছে?

.