সুচিত্রা মিত্রের ভাবশিষ্যা পূর্বা দাম মারা গেলেন সুচিত্রার জন্মদিনেই!
সন্ধ্যা হল গো ও মা, মধুর তোমার শেষ যে না পাই, দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে দেওয়া, জানি নাই গো সাধন তোমার। এ গানগুলি শুনলেই একটিই মুখ যে কোনও তন্নিষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শ্রোতার মনে ভেসে ওঠে। এই গানগুলিকে নিজের গান করে তুলেছিলেন যিনি, সেই পূর্বা দাম আজ, শনিবার সকালে কলকাতার বাড়িতে মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৮৫। রেখে গেলেন এক কন্যা কোয়েলিকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্ধ্যা হল গো ও মা, মধুর তোমার শেষ যে না পাই, দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে দেওয়া, জানি নাই গো সাধন তোমার। এ গানগুলি শুনলেই একটিই মুখ যে কোনও তন্নিষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শ্রোতার মনে ভেসে ওঠে। এই গানগুলিকে নিজের গান করে তুলেছিলেন যিনি, সেই পূর্বা দাম আজ, শনিবার সকালে কলকাতার বাড়িতে মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৮৫। রেখে গেলেন এক কন্যা কোয়েলিকে।
রবীন্দ্রনাথের একই গান তো বহু শিল্পীই রেকর্ড করেন। কিন্তু এরই মধ্যে কোনও কোনও শিল্পী কোনও গানে এমন ভাবে নিজের সিগনেচার দেগে দেন যে, সেটি তখন একেবারে তাঁরই গান হয়ে ওঠে যেন। যেমন দিনের শেষে ঘুমের দেশে মানেই পঙ্কজ মল্লিক, আকাশ ভরা সূর্য তারা মানেই দেবব্রত বিশ্বাস, দূরে কোথাও মানে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রগানের পৃথিবীতে এমন নজির কম নেই। সেই নজির সৃষ্টি করে গেলেন পূর্বা দামও।
পূর্বার শিক্ষা প্রবাদপ্রতিম সুচিত্রা মিত্রের কাছে। সুচিত্রার বিশিষ্ট গায়কিকেই নিজের গলায় সযত্নে তুলে নিয়েছিলেন সুচিত্রার ভাবশিষ্যা এবং তাঁর অন্যতম প্রিয় ছাত্রী পূর্বা। রবিতীর্থের অন্যতম সদস্য পূর্বা রবীন্দ্রগানকেই পেশা করে নিয়েছিলেন এবং ১৯৮০-র দশক থেকেই শ্রোতাদের আনুকূল্য পেতে থাকেন। ক্রমশ শহরের সঙ্গীতরসিক মহলে নিজের জন্য একটা আলাদা জায়গাও তৈরি করে নেন, এমন একটা জায়গা, যাতে কেউ তাঁকে আর উনি তো সুচিত্রার মতো গান বলে তাঁকে একপাশে সরিয়ে না রেখে দিতে পারে।
গত ৩-৪ বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। দুটো হাঁটুতে অপারেশনও হয়েছিল। হাঁটাচলা কমাতে হয়েছিল। ব্রেন স্ট্রোকও হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল ছিল। তাঁর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে। মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রেমী বাঙালি।