R G Kar Medical College: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাতেও এবার বিল!
আগামী দিন দশেকের মধ্যে চালু হচ্ছে এই নয়া ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটিতে সিনিয়র চিকিৎসকরা ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের আধিকারিকরা আছেন।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য : সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাতেও এবার বিল! সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাতেও এবার খরচের বিল ধরাবে কর্তৃপক্ষ। সরকারের কত খরচ হয়েছে, তার উল্লেখ থাকবে এই বিলে। বিলের শেষে লেখা থাকবে 'পেইড বাই গভর্মেন্ট'। আরজিকরে চালু হল এই নয়া ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীদের যে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়, সেই বাবদ সরকারের কত খরচ হচ্ছে, তা রোগীদের পরিজনকেও জানান। সেইমতো ব্যবস্থা করুন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মতোই এবার উদ্যোগ নিল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ। প্রসঙ্গত, এই প্রস্তাব প্রথমে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ-ই করেছিল।
এরপরই এদিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে বসে রোগীকল্যাণ সমিতি। একেবারে প্রশাসনিক বৈঠকের ধাঁচে হয় সেই বৈঠক। সেখানেই কর্তৃপক্ষের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, আগামী দিন দশেকের মধ্যে চালু হচ্ছে এই নয়া ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটিতে সিনিয়র চিকিৎসকরা ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের আধিকারিকরা আছেন। তাঁরাই এই বিল কীভাবে তৈরি করা হবে, তার খসড়া বা রূপরেখা নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর পাশাপাশি, এদিন হাসপাতালের তরফে বেশ কয়েকজন রোগীকে হাজির করানো হয়। যারমধ্যে ছিলেন একজন ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগিণী। যাঁর পিছনে গত দেড় বছরে ওষুধ ও চিকিৎসা বাবদ ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও ছিলেন এমন অনেক রোগী, যাঁদের বাইপাস সার্জারি হয়েছে বা ভালভ রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে। যাঁদের পিছনে সরকারি খাত থেকে লক্ষাধিক টাকা খরচ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষ জানান, 'রোগীরা বিনামূল্যে পরিষেবা পাচ্ছেন এবং পেয়ে যাবেন। কিন্তু রোগীরা ঠিক কত টাকার পরিষেবা পাচ্ছেন, সেই বিষয়টাও তাঁদের জানা দরকার। যাতে তাঁরা এই বিনামূল্যে পরিষেবারও একটা ভ্যালু দেন। সেইজন্যই বিল দেওয়ার ব্যবস্থা তাঁরা করছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সেটা দিন দশেকের মধ্যেই তাঁরা করবেন।'