গভীর অনিশ্চয়তায় রামকৃষ্ণপুর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মীরা
দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে বন্ধ হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। গত জুলাই মাসে সমবায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু হঠাত্ করেই রাজ্য সরকার এই ব্যাঙ্ককে লিক্যুইডেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্যায় কর্মী ও আমানতকারীরা।
দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে বন্ধ হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। গত জুলাই মাসে সমবায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু হঠাত্ করেই রাজ্য সরকার এই ব্যাঙ্ককে লিক্যুইডেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্যায় কর্মী ও আমানতকারীরা। হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মীদের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বেআইনি ঋণদানের কারণে ২০১০ সালের ১৭ জুন এই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা। পূর্বতন সরকারের সময়ে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও বিধানসভা নির্বাচনের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। গত ২৫ জুলাই সমবায়মন্ত্রী ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনল ডিরেক্টরের উপস্থিতে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক খোলা এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবিমত ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিন্তু হঠাত্ করেই অবস্থান বদল করে সরকার। এই ব্যাঙ্ককে লিকুইডেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রায় ৫০ হাজার আমানতকারী এবং ৬৫ জন কর্মীর ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত। তাঁরা চান, প্রশাসক নিয়োগ করে খেলাপী ঋণ আদায়ের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একইসঙ্গে বিষয়টির তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁর।