নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের পর এবার হাইকোর্টেও মুখোমুখি সংঘাতে কেন্দ্র রাজ্য। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের নির্দেশের পরও কীভাবে পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে যেতে পারে সিবিআই? এই মর্মে সোমবার পাল্টা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন সরকারি আইনজীবী। হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত শর্মার ঘরে আবেদন করে রাজ্য। দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গ, চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্ট ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরবর্তী শুনানি ও নির্দেশের আগেই কীভাবে সিপি রাজীব কুমারের বাড়িতে যেতে পারে সিবিআই? এবার এই ইস্যুতে পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য।


অন্যদিকে, কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের অপসারণ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দুই সমাজকর্মীর। তাঁদের অভিযোগ, সারদাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইকে আশ্বস্ত করেও তাঁদের সাহায্য করেননি রাজীবকুমার। সিবিআইকে হেনস্থা করে নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন সিপি। এই মর্মে সোমবার হাইকোর্টে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। জরুরি ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা শোনার আবেদন করেন দুই সমাজকর্মী। যদিও এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার প্রশ্ন করেন, “কেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি আর্জি করা হল?” যদিও এই আবেদন এদিন শোনেনি হাইকোর্ট। আগামিকাল অর্থাত্ মঙ্গলবার জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে।


আরও পড়ুন: রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এমন ব্যবস্থা নেব, সারা জীবন পস্তাবে, বললেন প্রধান বিচারপতি


এদিকে, তদন্তে অসহযোগিতা ও আদালত অবমাননার অভিযোগে কলকাতা পুলিস কমিশনারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানানো হয়, কলকাতার পুলিস কমিশনারকে চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার তলব করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। উলটে তদন্তে অসহযোগিতা ও বাধা সৃষ্টি করেছেন তিনি। 


তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, অবিলম্বে সেই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কী করে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধরনায় বসতে পারেন পুলিস আধিকারিকরা।