এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস যোগাতে ৩০০ গরিব শিশুকে 'সুপার থার্টি' দেখাল আরটিআই
আরটি১৭, আরটি ২৯৩ এবং ইয়ে মেরা ইন্ডিয়া নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষার মাধ্যমে স্বাধীনতা। সেই আদর্শেই বিশ্বাসী তাঁরা। সমাজে পরিবর্তন আনার মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটা সুন্দর জীবন দেওয়ার চেষ্টা। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে ক্যালকাটা সাউথ রাউন্ড টেবিল ১৭ (CSRT17)। আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে বৃহস্পতিবার তিনশোর বেশি দূঃস্থ শিশুকে 'সুপার থার্টি' সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করল সিএসআরআই। সুপার থার্টির আনন্দ কুমারের মতোই জীবনে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করাই ছিল বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের লক্ষ্য।
আরটি১৭, আরটি ২৯৩ এবং ইয়ে মেরা ইন্ডিয়া নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেন। এফটিই স্কুলের প্রায় ৩০০ জন ৭-১৫ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রী দেখেন হৃতিক রোশনের ছবিটি। সল্টলেকের কার্নিভাল সিনেমার লাল ভেলভেটে মোড়া হল ভরে ওঠে কচিকাঁচাদের ভিড়ে।
দেশের সম্ভান্ত্র ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও বিদ্বজনেদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরটিআই। দুঃস্থ শিশুদের জন্য স্কুল তৈরি করা, সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি তাঁদের মূল লক্ষ্য। ফ্রিডম থ্রু এডুকেশন আদর্শকে সামনে রেখে ১৯৯৭ সাল থেকে এগিয়ে চলেছে আরটিআই। দেশজুড়ে প্রায় ২৫৮৮টি স্কুল, ৬১৮৯টি ক্লাসরুম তৈরি করেছেন আরটিআইয়ের সদস্যরা। প্রায় ৬৮ লক্ষ শিশুর জীবনের সঙ্গে আজ ওতপ্রোতভাবে জড়িত আরটিআই।
'সুপার থার্টি' বিহারের বিখ্যাত অঙ্ক মাস্টার আনন্দ কুমারের বায়োপিক। ছবিতে আনন্দ কুমারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন। বক্সঅফিসে ছবিটি ভালো ব্যবসা করেছে। হৃতিকের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন ফিল্ম সমালোচকরাও। নামী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন আনন্দ কুমার। বাছাই করা ৩০ জন গরিব প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় পড়ানো শুরু করেন আনন্দ। আনন্দের জীবনের গল্প নিয়েই এগিয়েছে সুপার থার্টির চিত্রনাট্য।
আরও পড়ুন- পকেটে মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে ভারতে এসেছিলাম: নোরা ফতেহি