নিগৃহীত অধ্যক্ষের ইস্তফা গ্রহণের নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর, সমালোচনায় সরব শঙ্খ ঘোষ
নন্দীগ্রাম কাণ্ডের সময় প্রকাশ্যে তত্কালীন সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এবার রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির নিন্দায় সরব হলেন কবি শঙ্খ ঘোয।
নন্দীগ্রাম কাণ্ডের সময় প্রকাশ্যে তত্কালীন সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এবার রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির নিন্দায় সরব হলেন কবি শঙ্খ ঘোয।
রায়গঞ্জ কলেজে উন্মত্ত তৃণমূল সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারের পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবিলম্বে কলেজ চালু করার পাশাপাশি অধ্যক্ষের ইস্তফা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের `নাট্যকার` নেতার এ হেন তুঘলকি ফরমানের কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছে শঙ্খ ঘোযের গলায়। তিনি বলেছেন, নিগৃহীত অধ্যক্ষের পদত্যাগ গ্রহণ করা হলে, তা হবে খুবই অসঙ্গত। অবশ্যই ইস্তফা গ্রহণ করা উচিত নয়। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মানে গুণ্ডাবাহিনীর এই অনাচারকে প্রশ্রয় দেওয়া। শঙ্খ ঘোষের মতে, শিক্ষামন্ত্রীর উচিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার জন্য দিলীপ দে সরকারকে অনুরোধ করা।
বস্তুত রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনার পর খোদ শিক্ষামন্ত্রী তাঁর পাশে না দাঁড়ানোয় বিস্মিত শিক্ষামহল। অধ্যক্ষ ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বলেই যে ভাবে তাঁর ইস্তফা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন এই ঘটনার পর নিরাপত্তার ব্যাপারে অধ্যক্ষকে আশ্বস্ত না করে তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করার কথা বলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মহল। ওই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনও।
অন্য দিকে, নিজের কলেজেই উন্মত্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো ব্যথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার। তিনি বলছেন, দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখেননি। দিলীপবাবুর মতে, বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে তাকে আর যাই হোক, রাজনীতি বলা চলে না। দিলীপবাবু জানিয়েছেন, এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। বুকে ব্যথা রয়েছে। চিকিত্সকরা তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপ দে সরকার। দিলীপবাবু বলছেন, তিনি সরে যাওয়ার পর নতুন অধ্যক্ষের পরিচালনায় রায়গঞ্জ কলেজ আবার তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাক, তিনি সেটাই চান।