RG Kar Incident| CBI : 'চরম গাফিলতি' , আরজি কর মামলায় কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই!
শুনানিতে গরহাজির তদন্তকারী অফিসার, এমনকী আইনজীবীও! আরজি কর মামলায় এবার শিয়ালদহ কোর্টে কড়া ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতির মন্তব্য, "জামিন দিয়ে দেব? কোথায় পিপি? সিবিআইয়ের তরফে চরম গাফিলতি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা'।
পিয়ালী মিত্র: শুনানিতে গরহাজির তদন্তকারী অফিসার, এমনকী আইনজীবীও! আরজি কর মামলায় এবার শিয়ালদহ কোর্টে কড়া ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতির মন্তব্য, "জামিন দিয়ে দেব? কোথায় পিপি? সিবিআইয়ের তরফে চরম গাফিলতি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা'।
আরও পড়ুন: Kolkata Police Commissioner: সিপি-র পদ থেকে সরছেন বিনীত গোয়েল? নবান্ন সূত্রে চলে এল বড় আপডেট...
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। এই ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিস, সেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতেই। এদিন শিয়ালদহ কোর্টে মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় সঞ্জয়কে। লিগ্যাল এইডের তরফে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জানানো হয়।
বিচারপতি জানতে চান, 'সিবিআই পিপি(আইনজীবী) কোথায়'? মামলার সহকারী তদন্তকারী অফিসার জানান, 'আসেননি'। তদন্তকারী অফিসার? জবাব আসে, 'তিনিও আসেননি'। এরপর পিপিকে ডাকতে ফোন নিয়ে আদালত কক্ষের বাইরে যান সহকারী তদন্তকারী অফিসার। ফিরে এসে জানান, 'পিপি রাস্তায়'। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি।
সঞ্জয় রাইকে আজ আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে উপস্থিত হননি সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার। উপস্থিত ছিলেন না কোন সিনিয়র আইনজীবীও!
এতটা অপেশাদারিত্ব? এই একই ঘটনা যদি আজ কলকাতা পুলিশ ঘটাতো, তাদের গালি দিয়ে উদ্ধার করে দেওয়া হতো! কিন্তু এবেলা সম্ভবত সবাই চুপ থাকবে!
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) September 6, 2024
শেষপর্যন্ত সিবিআইয়ের লিগ্যাল সেলের এক প্রতিনিধি পৌঁছন আদালতে। সঞ্জয়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
আরও পড়ুন: RG Kar Hospital: ডাক্তার কই! মাথা খুঁড়তে খুঁড়তে বিনা চিকিত্সায় আরজি করে মারা গেলেন যুবক...
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা গণধর্ষিত নন। CFSL বিশেষজ্ঞরা ডিএনএর বিভিন্ন প্রোফাইলিং করেছেন। সূত্রের খবর, মিলে গিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ। সূত্রের আরও খবর, সিবিআই ১০০ টিরও বেশি বিবৃতি রেকর্ড করেছে এবং ১০ টি পলিগ্রাফ পরীক্ষা করেছে, যার মধ্যে হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান ডাঃ সন্দীপ ঘোষও রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই যে ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে একের বেশি কেউ জড়িত ছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)