কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আর্থিক ছাড় ও আসন সংরক্ষণের ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর
পলিটেকনিক, আইটিআই সহ বিভিন্ন ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে এবার থেকে বিশেষ সুযোগ পেতে চলেছেন কন্যাশ্রীরা। থাকছে ভর্তি পরীক্ষায় আর্থিক ছাড় থেকে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা। আজ কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রথম বর্ষপূর্তিতে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ষোলো লক্ষ ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। শুধু এ রাজ্য নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে কন্যাশ্রীর সাফল্য। আগামিদিনে সারা পৃথিবীতে চোদ্দই অগাস্ট পালিত হবে কন্যাশ্রী দিবস হিসেবে। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রথম জন্মদিনে বৃহস্পতিবার এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা,
এখন থেকে পলিটেকনিক, আইটিআই, ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশমূল্যে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন ছাত্রীরা। রাজ্যে যে সমস্ত অ্যাডভান্সড ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে সেগুলিতেও পঞ্চাশ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে ছাত্রীদের জন্য।
তার মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন থাকবে সেই ছাত্রীদের জন্য যাঁরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। ছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই লক্ষ্যে স্যামসাংয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে মউ স্বাক্ষর হয়েছে। গত এক বছরে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশংসা পেয়েছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। এদিন নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের প্রতিনিধির গলাতেও শোনা যায় সেই সুর।
মেয়েদের স্কুলমুখী করা ছাড়াও কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনার লক্ষ্য ছিল মেয়ে পাচার, বাল্য বিবাহ, মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কম করা। এই সমস্ত লক্ষ্যপূরণেও প্রশাসন অনেকটাই সফল বলে দাবি সরকারের।