রোগীকে ভেন্টিলেশনে রেখে বিল হল ১০ লাখ! মেডিকা-র বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজনরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- একেবারে যেন গব্বর ইজ ব্যাক সিনেমার প্লট বাস্তবে! রোগীকে ভেন্টিলশনে রেখে বিল বাড়িয়ে নিল হাসপাতাল। আর সেই বিল পরিশোধ করতে গিয়ে রোগীর পরিবারের সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড়! আরও একবার মেডিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ। ভেন্টিলেশনে রোগীকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা বিল বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজনরা। মৃতের নাম, অজয় কুমার দাস। বয়স ৬৪।
হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী অজয় বাবু গত ২৮ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে মেডিকাতে ভর্তি হন। ৩০ তারিখ মেডিকার তরফে অজয় কুমার দাসের পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রোগীর করোনা হয়েছে। এরপরই রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন- বেহালার পুকুরে মিলল প্রৌঢ়ের দেহ, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল 'হাড়হিম' করা ছবি
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এক-একটি ইঞ্জেকশনের জন্য ৪৫ হাজার টাকা দাম বলা হয় হাসপাতালের তরফে। রোগীর সঙ্গে দেখা করানোর কথা বললেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিত বলে অভিযোগ। এভাবেই দিনের পর দিন পরিবারের লোকজনকে রোগীর সঙ্গে দেখা করতে দিত না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ এমনই।
শনিবার রাতে অজয় কুমর দাস মারা যান বলে জানিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। তার পরই পরিবারের লোকজনদের হাতে দশ লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। মেডিকার তরফে কেউই কিছুই বলতে চান না এই মুহূর্তে। বাইরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য, এখন হাসপাতালে কেউই নেই।