মৌমিতা চক্রবর্তী: জেএনইউ-র পাশে দাঁড়িয়েছে এবিভিপি। বৃহস্পতিবার দিল্লির মান্ডি হাউস থেকে পদযাত্রা করেন সংগঠন পড়ুয়ারা। ওই পদযাত্রা থেকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিও উঠেছে। তবে জেএনইউ নিয়ে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের অবস্থানকে লোক দেখানো নাটক বলে কটাক্ষ করলেন এসএফআই-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস।            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার ময়ূখ বিশ্বাস বলেন,''এটা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। চাপে পড়েছে ওরা বাধ্য হয়েছে। দু'দিন আগেও তো পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলছিল। গোটা দেশ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে ভোল বদলেছে।'' কেন্দ্রে বিজেপির সরকার রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন এসএফআই নেতা। তাঁর কথায়,''ওদের সরকার ফি বাড়িয়েছে। একটা প্রজন্মকে শেষ করার চক্রান্তে যুক্ত রয়েছে এবিভিপি-ও। নতুন শিক্ষা নীতি বাতিল করার কথা বলুক আগে। এটা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে লড়াই।''


বিজেপির সঙ্গে তাদের সংগঠনের যোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন এবিভিপি-র দিল্লি ইউনিটের সম্পাদক সিদ্ধার্থ যাদব। তিনি বলেন, ''আমরা বিজেপির ছাত্র সংগঠন নই। যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেন, আমরা ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করি। মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ব্যর্থ। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাইছি।''



বৃহস্পতিবার দিল্লি মান্ডি হাউস থেকে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক পর্যন্ত পদযাত্রা করে এবিভিপি। যদিও মাঝ রাস্তায় পড়ুয়াদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিস। জেএনইউ-র হস্টেল ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি -সহ একাধিক দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। 


শনিবার নাগরিক পদযাত্রার ডাক দিয়েছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ। ওই পদযাত্রায় সমস্ত বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রী ও বাম মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের সামিল হওয়ার আবেদন করেছে তারা। হস্টেল ফি প্রত্যাহার, উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবি তাদের। শনিবার মান্ডি হাউস থেকে পদযাত্রা যাবে সংসদের উদ্দেশে।


আরও পড়ুন- ছবি: এত ছটফট কেন করো? এক জায়গায় বসতে পারো না! মমতাকে বললেন হাসিনা 'দিদি'