সমব্যথী: Yaas-এর হুঙ্কারের পাশেই 'পাশে আছি প্রেসিডেন্সি'র আবেগঘন সুর
সাবধানীরা যখন বাঁধ বাঁধে, তখন ছাত্রদলই কূল ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এই ছিল কবির ডাক। সেই ডাক বাজে কবির মতোই সংবেদনশীল হৃদয়ে। যেমন বেজেছে প্রেসিডেন্সির ছাত্রদের মনে। তারা এই করোনা-আবহেই সাতপাঁচ না-ভেবে দাঁড়িয়ে পড়তে চলেছে Yaas-দুর্গতের পাশে।
নজরুল তো বলেইছিলেন-- সাবধানীরা বাঁধ বাঁধে যখন তখন ছাত্রদলই কূল ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই নজিরই যেন নতুন করে গড়ল প্রেসিডেন্সির বামমনোভাবাপন্ন তরুণ তুর্কির দল। Yaas এখনও এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু তার জেরে ক্ষয়ক্ষতি যে হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেই আবেগ থেকেই ভারতের ছাত্র ফেডারেশনে'র 'প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট' ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছে।
আরও পড়ুন: Yaas রুখতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য দফতরের প্রস্তুতি
ছাত্র ফেডারেশনে'র 'প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে'র পোস্টটি এরকম:
''একেই করোনায় রক্ষে নেই, ইয়াস (supercyclone Yaas) দোসর। চারিদিক যখন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত তখনই বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে, বাংলার উপকূলবর্তী (coast of Bengal) অঞ্চলে আগামি ২৬ মে আছড়ে (landfall) পড়বে ঝড়, যার গতি থাকবে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ঝড়ের ফলে উপড়ে যাবে অনেক গাছ, ভেঙে পড়বে বাড়ি-ঘর।''
এই বিপদের মুহূর্তে দাড়িয়ে দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন (student organisation) হিসেবে এগিয়ে এসেছে 'ভারতের ছাত্র ফেডারেশনে'র 'প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট' ( SFI Presidency University Unit)। কোনো ছাত্রের সমস্যা হলে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করব।''
এরপর একটি পোস্টারে কতগুলি নাম্বার দেওয়া আছে। যেমন: দেবনীল- ৯৮৩০৩৫৭৪৮২, তন্ময়-৯৯৩২৫২৯৭০৯, অদ্রিজা-৮৬১৭৩৫১৯৩৩, দেবার্ক-৮৬৯৭২৩১৬৫২, শ্রীরূপা-৯৮৩১০৯৯৫১৩ । আছে আরও (সঙ্গের ছবিতে)।
এই অসম্ভব মানবিক আবেদনটি শেষ হয়েছে 'আমরা করব জয় নিশ্চয়' প্রত্যয়ের মধ্যে দিয়ে।
আরও পড়ুন: এখনও আসেনি Yaas, কয়েক মিনিটের ঘূর্ণির দাপটেই চুঁচুড়ায় আতঙ্ক, দেখুন ভিডিও