দলীয় কার্যালয়ে ঢুকিয়ে SFI কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
দলীয় কার্যালয়ে ঢুকিয়ে SFI এর এক কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাঙ্গুলিবাগানের এই ঘটনাতেও তৃণমূল নেতা ও কলকাতা পুলিসের বিতর্কিত কনস্টেবল তারক দাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। শান্তনু ঘোষ দস্তিদার নামের ওই SFI কর্মী পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওয়েব ডেস্ক: দলীয় কার্যালয়ে ঢুকিয়ে SFI এর এক কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাঙ্গুলিবাগানের এই ঘটনাতেও তৃণমূল নেতা ও কলকাতা পুলিসের বিতর্কিত কনস্টেবল তারক দাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। শান্তনু ঘোষ দস্তিদার নামের ওই SFI কর্মী পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
SFI এর কলকাতা জেলা কমিটির কর্মী শান্তনু ঘোষ দস্তিদার। শান্তনুর অভিযোগ, কয়েকজন তৃণমূল কর্মী রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ তাঁকে তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে।
কেন এভাবে মারধর করা হল শান্তনুকে? SFI কর্মীর বক্তব্য, তৃণমূল কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালিগালাজ ও তাঁর পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ এনেছে। এমনকি এই অপরাধের জন্য শান্তনুর কাছে মুচলেকাও দাবি করেন তাঁরা।
গাঙ্গুলিবাগানের এই ঘটনাতেও উঠে এসেছে কুখ্যাত তৃণমূল নেতা ও কলকাতা পুলিসের সাসপেন্ডেড কনস্টেবল তারক দাসের নাম। সাংবাদিক পিটিয়ে আর খুনের হুমকি দিয়ে আগেই শিরোনামে এসেছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা তারক দাসের নাম। এক্ষেত্রেও অভিযোগ, তারকের অনুগামীরাই শান্তনুকে মারধর করেছে। পাটুলি থানায় শান্তনু যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে মানিক বণিক, শম্ভু সরকার, জগা দাস, বান্টি, বাবাই সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
শান্তনুর অভিযোগ, তাঁর সোনার চেন ও দুহাজার টাকা ছিনতাই করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ১৪৩, ১৪৯, ৩২৩, ৩৮৪, ৫০৬ ও ৩৭৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। যদিও পুলিসি পদক্ষেপের বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নন শান্তনু। তাঁর অভিযোগ, মারধরের সময় পুলিস তৃণমূল পার্টি অফিসের বাইরে নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।