দলের বিরুদ্ধে জেহাদ, শিখা মিত্রকে বহিষ্কার করতে পারে তৃণমূল

তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে দল। সূত্রে খবর, দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে তাঁকে সাসপেন্ড, এমন কী বহিষ্কারও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে পারে।

Updated By: Jul 1, 2012, 09:41 PM IST

তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে দল। সূত্রে খবর, দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে তাঁকে সাসপেন্ড, এমন কী বহিষ্কারও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে পারে। যদিও সুব্রত বক্সি, মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে না। প্রথামত সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, শিখা মিত্রর আজকের বক্তব্যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ তিনি।
রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে দাঁড়িয়ে নিজের দলের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেন তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্র। নাম না করেই তৃণমূল নেত্রীর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, "খালি `আমি-ওরা` চলবে না। প্রত্যেককে কাজ করে দেখাতে হবে। আমাকেও কাজ করে দেখাতে হবে। আমি আমার অঞ্চলের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না। কারণ স্তাবকতার রাজনীতি আমি করতে পারব না।"
বিতর্ক আরও বড় আকার নেয় কারণ শিখা মিত্র যখন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তখন পাশে ছিলেন তাঁর স্বামী তৃণমূল সাংসদ সোমেন মিত্র। রবিবার সকালেই বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ও মৃত্যুদিন উপলক্ষ্যে বিধান ভবনে যান তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর একমঞ্চে উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। তবে, সোমেন মিত্র বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
যদিও, বিকেলে গোটা পরিস্থিতিই বদলে যায়। বিধান ভবনে আয়োজিত সেমিনারে সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র নাম না করে নিজের দলের  বিরুদ্ধেই একের পর এক তোপ দাগেন। সম্মেলন স্থল কার্যত পরিণত হয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের মঞ্চে।
বছর দুয়েক আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন কবীর সুমন। নিজের দলে তিনি এখন ব্রাত্য। রবিবারের ঘটনার পর তৃণমূলে শিখা মিত্রর ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূল নেতাদের একাংশও শিখা মিত্রর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী। কবীর সুমন নিজে থেকে দল ছাড়েননি। সোমেন মিত্র ও শিখা মিত্র কী করবেন সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।  

.