আজ শীর্ষ আদালতে সিঙ্গুর মামলার রায়, অপেক্ষায় গোটা রাজ্য

সুপ্রিমকোর্টে আজ সিঙ্গুর মামলার শুনানি। গত ১৫ নভেম্বর শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও  টাটা মোটরস অতিরিক্ত নথি জমা না দেওয়ায় পিছিয়ে যায় শুনানি। টাটা মোটরসকে বাড়তি সময় না দেওয়ার আবেদন জানায় রাজ্য। তবে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে, অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য টাটা মোটরসকে আরও ৪ সপ্তাহ সময় দেয় কোর্ট অফ রেজিস্ট্রার। যদিও রেজিস্ট্রার স্পষ্ট করে দেন, নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত নথি জমা না দিলে ২ ডিসেম্বরের পর সিঙ্গুর মামলা শুনানি শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে আবেদন করার ব্যাপারে কোনও সুবিধা পাবে না টাটা মোটরস।

Updated By: Dec 3, 2012, 09:30 AM IST

সুপ্রিমকোর্টে আজ সিঙ্গুর মামলার শুনানি। গত ১৫ নভেম্বর শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও  টাটা মোটরস অতিরিক্ত নথি জমা না দেওয়ায় পিছিয়ে যায় শুনানি। টাটা মোটরসকে বাড়তি সময় না দেওয়ার আবেদন জানায় রাজ্য। তবে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে, অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য টাটা মোটরসকে আরও ৪ সপ্তাহ সময় দেয় কোর্ট অফ রেজিস্ট্রার। যদিও রেজিস্ট্রার স্পষ্ট করে দেন, নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত নথি জমা না দিলে ২ ডিসেম্বরের পর সিঙ্গুর মামলা শুনানি শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে আবেদন করার ব্যাপারে কোনও সুবিধা পাবে না টাটা মোটরস।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায় রাজ্য সরকারের বিপক্ষে গেলে সিঙ্গুরের জমি দখল করে আইন রচনা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সিঙ্গুরে জনসভা করে এই হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর অভিযোগ সিপিআইএম, বিচারপতি ও টাটাদের আঁতাঁতের ফলেই কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গুর মামলা হেরে গেছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম জনসভাতেই সিঙ্গুর নিয়ে সুর চড়ালেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, সিঙ্গুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় তৃণমূলের বিপক্ষে গেলে জমি দখল করে আইন প্রণয়ন করবেন তাঁরা। সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে। গত শুক্রবার সিঙ্গুরেই এই দাবি করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁরই অনুগত বেচারাম মান্না আদলতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইন তৈরির কথা বললেন। আদালতে বিচারাধীন সিঙ্গুর মামলা নিষ্পত্তির আগেই মন্ত্রীর এহেন হুঁশিয়ারিতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এদিন প্রকাশ্য সভায় বেচারাম মান্না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন।
কৃষি প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে আদালত অবমাননার দায়ে বেচারাম মান্নার গ্রেফতারিও দাবি করা হয়েছে। এমনকী তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসাবে খ্যাত অনেকেই বিরোধিতা করেছেন কৃষি প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের।
সিঙ্গুর আইনকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে টাটাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বেচারাম মান্নার অভিযোগ টাটা, সিপিআইএমের অনুগত বিচারপতির পক্ষপাতিত্বের জন্যই হাইকোর্টে হেরে গেছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগেই সিঙ্গুরের জমিহারা মানুষরা বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন বেচারাম মান্নার সামনেই। তারপর একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সিঙ্গুরের জমি সরকারের। অন্যদিকে বেচারাম মান্নার হুঙ্কারের পর আবার করে আশায় বুক বাঁধছেন সিঙ্গুরের মানুষ। শীর্ষ আদালতের আজকের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে একধারে শাসক ও বিরোধী দল।
এই সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের উপর ভর করেই ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে পালাবদল হয়েছিল। তাই আজকের রায়ের উপর নির্ভর করে বদলে যেতে পারে অনেক রাজনৈতিক সমীকরণই।

.