সিঙ্গুর মামলা : রাজ্যের পক্ষে রায়

‘সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন’ সাংবিধানিক এবং বৈধ বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সিঙ্গুর মামলার রায় দেন। আদালতের রায় অনুসারে রাজ্য সরকার টাটা মোটর্সের কাছ থেকে সিঙ্গুরের যে জমি অধিগ্রহণ করেছে তা সম্পূর্ণ বৈধ। রায়ে বিচারপতি বলেছেন, টাটা মোটর্স ৬ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে।

Updated By: Sep 28, 2011, 06:25 PM IST

‘সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন’ সাংবিধানিক এবং বৈধ বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সিঙ্গুর মামলার রায় দেন।
আদালতের রায় অনুসারে রাজ্য সরকার টাটা মোটর্সের কাছ থেকে সিঙ্গুরের যে জমি অধিগ্রহণ করেছে তা সম্পূর্ণ বৈধ। রায়ে বিচারপতি বলেছেন, টাটা মোটর্স ৬ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে। তবে বিচারপতি নিজেই গোটা রায়টি ২ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন। এই এক মাসের মধ্যে আজকের রায়ে অসন্তুষ্ট কোনও পক্ষ উচ্চতর আদালতে যেতে পারবেন।
রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম সিদ্ধান্ত নেন যে, সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেবেন। সেই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে রাজ্য সরকার দ্রুত একটি আইনও তৈরি করে। প্রথমে ‘সিঙ্গুর পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন বিল’ নিয়ে আসে রাজ্য সরকার এবং সেই বিল বিধানসভায় পেশ করে আইন তৈরি করা হয়। এই আইনের বলেই রাজ্য সরকার সিঙ্গুরের ৯৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে নেয়। সরকারের ‘সিঙ্গুর পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন’ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয় টাটা মোটর্স কর্তৃপক্ষ। আজ টাটাদের এই আবেদন খারিজ করে সরকারের আইনকেবৈধতার
ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাইকোর্ট । সিঙ্গুর আইনকে বৈধতা দেওয়ার পাশাপাশি, আজকের রায়ে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সিঙ্গুর আইনের কোথায় ক্ষতিপূরণের উল্লেখ নেই। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, আঠেরশো চুরানব্বই সালের জমি অধিগ্রহণ আইনের তেইশ ও চব্বিশ ধারা অনুযায়ী টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ছ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করতে পারবে টাটারা।
ক্ষতিপূরণ ঠিক করবেন হুগলির জেলা জজ।
বিচারপতি টাটাদের বলেছেন, দু মাসের মধ্যে সিঙ্গুর থেকে তাদের সমস্ত সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে হবে। সেই মর্মে হুগলির জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে ‘স্পেশাল অফিসার’নিয়োগ করা হয়েছে। হুগলি জেলা প্রশাসনই ব্যবস্থা করবে যাতে টাটারা সিঙ্গুর থেকে সুষ্ঠুভাবে তাদের সম্পত্তি নিয়ে যেতে পারে । সরকারের পক্ষের আইনজীবী অশোক ব্যানার্জি বলেছেন, ‘হাইকোর্টের রায় তাদের পক্ষেই গেছে’। টাটাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের কপি পড়ে তবেই প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। গত ২২ জুন বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হলেও, ব্যক্তিগত কারণে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি। তারপর মামলা শুরু হয় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি শেষ হয়।

.