চিট ফান্ডের দৌরাত্ম্য রুখতে স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্প চালু করছে রাজ্যসরকার
চিটফান্ডের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এবার স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। সেফ সেভিংস স্কিম নামে এই প্রকল্প বাজারে আসছে আগামী পাঁচই অক্টোবর থেকে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা জমা রাখা এবং ফেরত পাওয়া যাবে. সুদ মিলবে ব্যাঙ্কেরই নির্ধারিত হারে. কিন্তু প্রশ্ন, বাড়তি সুদ বা আকর্ষণীয় কোনও সুযোগসুবিধা না থাকলে এই প্রকল্পের দিকে কেন ঝুঁকবেন আমানতকারীরা? সারদাকাণ্ডে প্রতারিত হয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ আমানতকারী. খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন কিনা জানা নেই তাদের। তবে ভবিষ্যতে এধরনের বিপদ এড়াতে সেফ সেভিংস স্কিম চালু করছে রাজ্য সরকার। চিটফান্ডের হাত থেকে সাধারণ বিনিয়োগাকীরদের বাঁচাতে বাস্তবের রূপ পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি।
চিটফান্ডের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এবার স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। সেফ সেভিংস স্কিম নামে এই প্রকল্প বাজারে আসছে আগামী পাঁচই অক্টোবর থেকে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা জমা রাখা এবং ফেরত পাওয়া যাবে. সুদ মিলবে ব্যাঙ্কেরই নির্ধারিত হারে. কিন্তু প্রশ্ন, বাড়তি সুদ বা আকর্ষণীয় কোনও সুযোগসুবিধা না থাকলে এই প্রকল্পের দিকে কেন ঝুঁকবেন আমানতকারীরা? সারদাকাণ্ডে প্রতারিত হয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ আমানতকারী. খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন কিনা জানা নেই তাদের। তবে ভবিষ্যতে এধরনের বিপদ এড়াতে সেফ সেভিংস স্কিম চালু করছে রাজ্য সরকার। চিটফান্ডের হাত থেকে সাধারণ বিনিয়োগাকীরদের বাঁচাতে বাস্তবের রূপ পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি।
টাকা জমা এবং ফেরত পাওয়া, দুটি কাজই হবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। এজন্য আপাতত চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে নির্দিষ্ট করেছে সরকার।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এবং এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা দেওয়া-নেওয়া হব।
এই প্রকল্পে সুদ মিলবে ব্যাঙ্কের নির্ধারিত হারে। আর এখানেই উঠছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন.
গ্রামে বা শহরে, মানুষের চিটফান্ডের দিকে ঝোঁকার সবচেয়ে বড় কারণ হল বেশি সুদের লোভ। স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার কমে যাওয়ায় চিটফান্ডের প্রলোভনে পা দিয়েছেন অনেকে. কিন্তু ঘোষিত সরকারি প্রকল্পে কোনও বাড়তি সুদের কথা বলা হয়নি। ব্যাঙ্কের হারেই যদি সুদ দেওয়া হয় তাহলে টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে কেন এই সরকারি স্কিমে রাখবেন আমানতকারীরা?
প্রশ্নটা শুনেই অবশ্য মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী।
রয়েছে আরও সমস্যা। এখনও বহু গ্রামে ব্যাঙ্কের শাখা নেই। সেইসমস্ত এলাকায় কীভাবে চালু করা যাবে এই স্কিম?
দাওয়াইটা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীই দিলে।
তাহলে ব্যাঙ্কের নতুন শাখা যতদিন না খুলছে, ততদিন এই প্রকল্পের সুফল পাবেন না প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। এই প্রকল্পে জমানো টাকা করমুক্ত না হওয়াকে আরও একটা নেতিবাচক বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ কোনও সুযোগসুবিধা ছাড়াই শুধুমাত্র সঠিক সময়ে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতিতে কতটা সাফল্য পাবে এই প্রকল্প?