সল্টলেকে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া, মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছেলে
মৃতা মহিলা পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিত্সক
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার সল্টলেকে রবিনসনস স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসেছিলেন ছেলে। প্রতিবেশীদের তত্পরতায় শেষপর্যন্ত উদ্ধার হল দেহ। ঘটনাটি সল্টলেকের বিই ব্লকের।
আরও পড়ুন-যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার, ১০ বছরের বালককে খুন করে ফেলল কিশোর
রবিবার প্রবল কটূ গন্ধে এলাকা ভরে যায়। প্রতিবেশীরা শেষপর্যন্ত পুলিসে খবর দেন। গতরাতে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৃত মহিলার ছেলে মৈত্রেয় ভট্টাচার্যকে। ছেলেটি মানসিক মাসসিক ভারসাম্যহীন বলেই দাবি প্রতিবেশীদের। কতদিন ওই মরদেহ আটকে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে ধন্ধ রয়েছে।
গতকাল বিধাননগর উত্তর থানায় খবর যায় যে বিই ২২০ নম্বর ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। পুলিস এসে অবাক হয়ে যায়। দেখা যায় মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছে ছেলে। প্রতিবেশীদের অনুমান যে ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে তাতে বেশ কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁরা গন্ধ পাচ্ছিলেন। তবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না সেই গন্ধ কীসের।
আরও পড়ুন-রাম মন্দির জেডিইউয়ের কোনও ইস্যুই নয়, আসন সমঝোতার পর সাফ ঘোষণা নীতীশের
প্রতিবেশীদের দাবি ওই ছেলেটি আসপাশের লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন না। এক একাই থাকতেন। প্রায়ই প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া হতো। তাদের গালিগালাজও করতেন। নিজের বাড়ির জিনসপত্র ভাঙচুর করতেন। মৃতা মহিলা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর স্বামী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিত্সক। বেশ কয়েকবছর আগেই তিনি মারা যান। তার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে দেখাশোনা করতেন ওই যুবক।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে মধ্য কলকাতার রবিনসনস স্ট্রিটে দিদির মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন এক যুবক। পুলিস এসে তা উদ্ধার করে। বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় তার বাবার আধপোড়া দেহ। এছাড়াও উদ্ধার হয় দুটি কুকুরের মৃতদেহ।