সোনিকা সিং চৌহ্বানের মৃত্যু তদন্ত: বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিস

গাড়ি দুর্ঘটনায় সোনিকা সিং চৌহ্বানের মৃত্যুর ঠিক এক মাস পর, অভিনেতা বিক্রমের বিরুদ্ধে মামলার ধারা বদল করল পুলিস। আগে ছিল গাফিলতির জেরে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ধারা। তা বদলে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিস। দোষী প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বিক্রমের। পর্দার নায়ক কঠোর বাস্তবের কাঠগড়ায়। সোনিকা মৃত্যু কাণ্ডে বিক্রমের বিরুদ্ধে ধারা বদল। শুরুতে ছিল 304 A - গাফিলতির জেরে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু, এখন তা বদলে 304 - অনিচ্ছাকৃত ভাবে খুন। 

Updated By: May 30, 2017, 09:48 PM IST
সোনিকা সিং চৌহ্বানের মৃত্যু তদন্ত: বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিস

ওয়েব ডেস্ক: গাড়ি দুর্ঘটনায় সোনিকা সিং চৌহ্বানের মৃত্যুর ঠিক এক মাস পর, অভিনেতা বিক্রমের বিরুদ্ধে মামলার ধারা বদল করল পুলিস। আগে ছিল গাফিলতির জেরে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ধারা। তা বদলে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিস। দোষী প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বিক্রমের। পর্দার নায়ক কঠোর বাস্তবের কাঠগড়ায়। সোনিকা মৃত্যু কাণ্ডে বিক্রমের বিরুদ্ধে ধারা বদল। শুরুতে ছিল 304 A - গাফিলতির জেরে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু, এখন তা বদলে 304 - অনিচ্ছাকৃত ভাবে খুন। 

২৯ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৩ টেয় লেকমলের কাছে দুর্ঘটনা। মডেল সোনিকা সিংয়ের চৌহ্বানের মৃত্যু। গোড়া থেকেই বিক্রমের দাবি ছিল, তিনি মদ্যপান করেননি। বেপরোয়া গতিতে গাড়িও চালাননি। পুলিস মামলা রুজু করেছিল লঘু ধারাতেই। মামলা রুজু হতেই আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন বিক্রম। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে ধোপে টেকেনি অভিনেতার দাবি। ২৯ এপ্রিল দুর্ঘটনার রাতে বিক্রম একাধিক জায়গায় মদ্যপান করেছিলেন। পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে জানা গেছে, বিক্রম গাড়িও চালাচ্ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি ছিল ৯৫ থেকে ১০৫ কিলোমিটার। গতি অত্যন্ত বেশি থাকায় দুর্ঘটনায় সময় সোনিকার মাথা একাধিকবার গাড়ির ড্যাশবোর্ড ও বাঁদিকের জানলার কাচে ধাক্কা খায়। বারবার মাথায় ধাক্কা লেগেই অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় সোনিকার। মঙ্গলবার আলিপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পুলিসের যুক্তি ছিল, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো যে ঝুঁকির, বিক্রম তা জানতেন।  বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বিপজ্জনক, এটাও তাঁর অজানা ছিল না তারপরেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বেপরোয়া ড্রাইভিং করছিলেন তিনি। 

পুলিসের যুক্তি, বিপদ জেনে বুঝেও বিপজ্জনক কাজ করেছেন বিক্রম। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ধারা দেওয়া হোক। পুলিসের আর্জি মনজুর করে আদালত। এরপরই 304 ধারায় জামিন অযোগ্য অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বিক্রমের। 

সত্য সামনে আসুক। এটাই তাঁরা সব সময় চেয়ে এসেছেন। বিক্রমের বিরুদ্ধে পুলিসের ধারা বদলকে সত্য উদঘাটনের পথে একটা পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা। জামিন অযোগ্য ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হলেও, পুলিস বিক্রমের জামিন খারিজের আর্জি জানায়নি। 

.