রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনদেবতা। ঋষিকবির চেতনাকে জীবনের পরতে পরতে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে চলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাই আশিতম জন্মদিনেও তিনি দারুণভাবে কর্মমুখর। রবিবার তাঁকে ঘিরে সারাদিন জুড়ে ছিল নানা অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা আর সাহিত্যবাসর। বর্ষীয়ান শিল্পী অন্তত এই দিনটা শুধু শুভেচ্ছা গ্রহণ করেই কাটাতে পারতেন। কিন্তু তা করলেন না। জন্মদিনেও কবিতা, নাটকে ডুবে রইলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ।
প্রতিদিনই তিনি দারুণ ব্যস্ত। অভিনয়, নাটক, কবিতা পড়া,কবিতা লেখা। কাজ অনেক। তাই ব্যস্ততাও বেশি।
রবিবার আশিতম জন্মদিনেও দারুণভাবে ব্যস্ত রইলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এসেছিলেন নামী শিল্পী কলাকুশলীরা। তাঁদের সঙ্গে কথায়, আড্ডায়, স্মৃতিচারণায় সারাদিন অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারতেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তা হল না। ধরা দিলেন নিত্য দিনের অধ্যবসায়ের মেজাজে।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা। মনে হয়, তাতেই জীবন আনন্দময়। কিন্তু জেগে উঠে তাকাতেই ঘোর ভাঙে। জীবন তো কর্মময়। আর সেই কর্মের মধ্যেই রয়েছে আনন্দ। রবি ঠাকুরের এই শিক্ষা আশিতম জন্মদিনেও উচ্চারিত হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরী ভাষায়। কবিতা পড়লেন। পরে নাটকে অভিনয়ও করেন। জন্মদিনের মাইলস্টোন থেকে শুরু হল আবার এক নতুন পথচলা। কাজই সেখানে জীবনপথের কাণ্ডারী।
রবীন্দ্রনাথের গান, গীতিআলেখ্য, চিত্রপ্রদর্শনী, সাহিত্যবাসরের মধ্যে দিয়েই বর্ষীয়ান শিল্পীকে সংবর্ধনা জানালেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কলাকুশলীরা।
সৌমিত্র জন্মদিনে সারাদিন অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা আর রবীন্দ্রনাথ