জামিনে মুক্ত সৃঞ্জয় বসু তৃণমূল ছাড়লেন, ইস্তফা দিলেন সাংসদ পদ থেকেও
সারদা মামলায় জামিন পাওয়ার পরই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন সাংসদ সৃঞ্জয় বসু। আজ সকালেই চিঠি দিয়ে দলনেত্রীকে জানিয়ে দেন তৃণমূলের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছাড়ালেন তিনি। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন সৃঞ্জয়। তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন সৃঞ্জয়।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন সৃঞ্জয় বসু। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, দলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন। আজ সকালেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন সৃঞ্জয় বসু। সারদা মামলায় ২১ নভেম্বর সৃঞ্জয় বসুকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হচ্ছিল। ঘনিষ্ঠমহলে সৃঞ্জয় জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে থাকার জন্যই তিনি সারদা মামলায় ফেঁসেছেন। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধছিল। গতকালই সারদা মামলায় জামিন পান সৃঞ্জয় বসু। তারপর আজ সকালে দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা চিঠি দিয়ে দলনেত্রীকে জানিয়ে দিলেন তিনি।
এদিকে, সৃঞ্জয় বসুর জামিনের পর ভুল শোধরাতে উদ্যোগী হল CBI। সৃঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে চারশো নয় ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ FIR -এ থাকলেও, তা বাদ পড়ে গিয়েছিল কোর্ট পেপার থেকে। বিষয়টি নজরে আসেনি CBI-এরও।
সারদা মামলায় ২১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু, গ্রেফতার করার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সৃঞ্জয় বসু। দীর্ঘদিন SSKM হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা চলছিল। এই ধারায় অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ৬০দিন আটক রাখা যায়। কিন্তু, সৃঞ্জয় বসুকে ৭৫দিন আটক রাখা হয়েছিল। চার্জশিটও দেয়নি সিবিআই। তাই জামিন পেয়ে যান তিনি।