SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কে, এক তৃণমূল নেতার নাম ফাঁস করলেন শান্তনু
SSC Scam:বিদ্যুত্ দফতরের সামান্য একজন কেরানি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর যে বিপুল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা দেখে ইডি মনে করছে তা কেবল হিমশৈল্যের চূড়া মাত্র। জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আরও অনেক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাবে
অয়ন ঘোষাল: ইডি হেফাজতে তিনি কী বলেছেন তার সবটা প্রকাশ্যে আসছে না। তবে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির তৃণমূল নেতার আঙুল উঠল জেলার আর এক নেতা কুন্তল ঘোষের দিকে। তাও একেবারে প্রকাশ্য়ে। বিদ্যুত্ দফতরের সাধারণ এক কর্মী ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে বিপুল টাকা করেছেন। তিনিই আজ পুলিসের গাড়িতে ওঠার আগে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- বিদ্যুত্ দফতরের কর্মী শান্তনুর বিশাল সাম্রাজ্যের হদিস, ২ দিনের ইডি হেফাজত তৃণমূল নেতার
সোমবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড কুন্তল ঘোষ। ও মিথ্যে অভিযোগ করে সবাইকে ডাইভার্ট করছে। টাকাগুলো অন্যদিকে সাইড করছে। অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছে। আপনারা খোঁজ নিন। ও যা বলছে সব মিথ্যে কথা। আমি কোনও দুর্নীতিতে জড়িত নই। আগামী দিনে তা প্রমাণ হবে।
বিদ্যুত্ দফতরের সামান্য একজন কেরানি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর যে বিপুল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা দেখে ইডি মনে করছে তা কেবল হিমশৈল্যের চূড়া মাত্র। জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আরও অনেক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাবে। আর সেই কারণেই বলাগড় বিএলআরও অফিসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পরিচিতদের নামে কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তার খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই খতিয়ান হাতে এলেই বোঝা যাবে কোন সালে তা কেনা হয়েছে এবং তার বাজার মূল্য কত।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এখনওপর্যন্ত যে দাবি করেছেন তা কুন্তল ঘোষের উল্টো। কুন্তলের দাবি ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড তাপস মণ্ডল। সে-ই একশো কোটির খেলাটা খেলেছে। তার মুখেই শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল। এখ কেন সত্যি বলছেন, কে তথ্য চেপে যাচ্ছেন তা এখন ইডির তদন্ত সাপেক্ষ। খুঁজে বের করতে হবে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে মাস্টার মাইন্ড কে এবং এদের মদ্যে কে বেশি লাভবান হয়েছে। কুন্তলের কথা মতো ওই একশো কোটি কার কাছে গিয়েছে সেটাই এখন তদন্তের বিষয়।